Lok Sabha Election 2024

সীতা-পতির কথাই এখন অস্ত্র কংগ্রেসের

প্রভাকর আগে একাধিক বার মোদী সরকারের অর্থনীতি, কাজকর্মের সমালোচনা করেছেন। নির্বাচনী বন্ডকে বৃহত্তম কেলেঙ্কারি বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩০
Share:

—প্রতীকী ছবি।

‘নরেন্দ্র মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে এই লোকসভা ভোটই দেশের শেষ লোকসভা নির্বাচন।’ বক্তার নাম অর্থনীতিবিদ পরকলা প্রভাকর। মোদী সরকারেরই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামী।

Advertisement

সংবিধানের প্রণেতা ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিনের সকালে নরেন্দ্র মোদী যখন বিজেপি দফতরে দলের লোকসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করছেন, ঠিক সেই সময়ে নতুন করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান বদলের পরিকল্পনার অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। হাতিয়ার করা হল অর্থনীতিবিদ পরকলা প্রভাকরের নতুন বক্তব্যকে।

প্রভাকর আগে একাধিক বার মোদী সরকারের অর্থনীতি, কাজকর্মের সমালোচনা করেছেন। নির্বাচনী বন্ডকে বৃহত্তম কেলেঙ্কারি বলে দাবি করেছেন। এ বার লোকসভা নির্বাচনের একেবারে মুখে একাধিক সাক্ষাৎকারে পরকলা প্রভাকর দাবি করেছেন, “নরেন্দ্র মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে এটাই হবে শেষ নির্বাচন। দেশের সংবিধান, দেশের মানচিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে।” নরেন্দ্র মোদীকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বক্তব্য, এখন যে সব কথা ফিসফাস করে শোনা যাচ্ছে, তখন তা লাল কেল্লা থেকে শোনা যাবে। এখন যা মণিপুরে, লাদাখে হচ্ছে, তখন গোটা দেশে হবে। আজ বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের দিন কংগ্রেস প্রভাকরের বক্তব্য তুলে ধরে মনে করিয়ে দিয়েছে, উনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামী।

Advertisement

প্রভাকর বলেছেন, মোদী ভারতের অর্থনীতিকে ২০-২৫ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির হিসেবে ভারতকে প্রাক্‌-স্বাধীনতা যুগে নিয়েছেন। সামাজিক ঐক্য, বিজ্ঞানমনস্কতা, সামাজিক মূল্যবোধের নিরিখে ভারতকে মধ্যযুগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এই ‘ট্র্যাকরেকর্ড’ থাকলে মোদীর ক্ষমতায় ফেরা ধ্বংসাত্মক হবে। প্রভাকরের অবশ্য ভবিষ্যৎবাণী, বিজেপি ২২০-২৩০টি আসনের বেশি জিতবে না। কারণ, উত্তর ভারত থেকে ৫০-৬০টি, দক্ষিণ ভারত থেকে ১০-১২টি আসন কমবে। বিজেপি ২৩০-এ আটকে গেলে মোদীর পক্ষে জোট সরকার তৈরি সম্ভব হবে না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সরকারের মন্ত্রীকুল, কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেদের সঙ্গে সংসদ চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে যতই সংবিধান শেষ করার অভিযোগ তোলা হোক, অম্বেডকর নিজে এলেও সংবিধান শেষ করতে পারবেন না। কিন্তু কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ আজ অভিযোগ তুলেছেন, মোদী মুখে যা-ই বলুন, তাঁর দলের নেতারা বিজেপির আসল মনোবাঞ্ছা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

অযোধ্যায় বিজেপির প্রার্থী লল্লু সিংহ, হরিয়ানায় বিজেপির প্রার্থী জ্যোতি মির্ধা, কর্নাটকের সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে বলেছেন, বিজেপি লোকসভায় চারশোর বেশি সাংসদ নিয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়েছে সংবিধান বদলের জন্য। আজ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, “বিজেপির ইস্তাহার বা সঙ্কল্প পত্র আসলে দেখনদারি। এদের আসল ইস্তাহার হল সংবিধান বদল পত্র। গলিতে গলিতে, রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির নেতা, প্রার্থীরা সংবিধান বদলের দাবি নিয়ে ঘুরছেন।”

অম্বেডকরের জন্মদিবসে আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে নাগপুরে বৌদ্ধস্তূপ দীক্ষাভূমিতে গিয়েছিলেন। এখানে অম্বেডকর ও তাঁর অনুগামীরা বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতর। সেখানে জনসভা করে খড়্গে মোদী সরকারের দলিত, আদিবাসী বিরোধী নীতি নিয়ে আক্রমণে যান। তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকার দলিত, আদিবাসী রাষ্ট্রপতিদের অপমান করেছেন। তাঁদের নতুন সংসদ ভবনের শিলান্যাস, উদ্বোধন বা রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় যেতে দেওয়া হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement