কোচবিহারের রাসমেলার মঞ্চে প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিজেপির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে।
চমকহীন ফিনফিনে সাদা সুতির মোদীকুর্তা-চুড়িদার। কোচবিহারের গুমোট গরমের জন্যই সম্ভবত কনুইয়ের আগে থেমেছে হাতার ঝুল। ফলে সুগঠিত বাহুদ্বয়ের অনেকটাই দৃশ্যমান। কব্জিতে কালো স্ট্র্যাপের ঘড়ি। গলায় গেরুয়াপাড় সাদা উড়নি। পরে যদিও সুকান্ত মজুমদার একটি গাঢ় লাল উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন। মোদী সেটি গলায় রেখেও দিলেন। খুলে রাখলেন মনোজ টিগ্গার পরানো একই রঙের দ্বিতীয়টি।
শুরুতেই খানিকটা চমক! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিয়ে মোদীর বক্তৃতা শুরু। এক ঢোক জল খেয়ে বক্তৃতা শেষ ৩২ মিনিটে। তবে মোদীর নাতিদীর্ঘ বক্তৃতার পরে আসল শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজন ছিল তাঁর হাতের। বক্তৃতার পুরোটাই হাতে-হাতে অভিনয় করে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলায় তর্জমাও করেছেন তাঁর হিন্দি বক্তৃতার মূল অংশগুলির। তবে উত্তরবঙ্গে গিয়েও ঝড় নিয়ে একটি শব্দ খরচ করলেন না!
কোচবিহারের রাসমেলার মাঠ বড়। সেই মাঠ ছাপিয়ে গিয়েছিল ভিড়। তার আগে যাত্রাপথেও রোড শোয়ের মতো ভিড় হয়েছিল বলে খানিকটা গর্বের সঙ্গেই জানালেন মোদী নিজে। অনেকেই মোদীর নামাঙ্কিত জামা আর টুপি পরে এসেছিলেন। মোদীকে হাতে আঁকা প্রতিকৃতিও দিলেন কেউ কেউ। সবক’টির সঙ্গেই যে মোদীর মিল আছে, তা অবশ্য নয়। কিন্তু আন্তরিকতা ছিল। মোদীর প্রতিটি প্রশ্নের জবাব এল দর্শকাসন থেকে। মোবাইলের ফ্ল্যাশ বাল্ব জ্বালানোর অনুরোধ করতেই সভা ভরে গেল জোনাকির আলোয়।
গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।