জে পি নড্ডা। —ফাইল ছবি।
নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের পর্যালোচনা করতে আজ বৈঠকে বসলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার বাড়িতে ওই বৈঠকে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ ছাড়াও ছিলেন আরএসএসের শীর্ষ নেতারা।
টানা দু’বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরে এ বার সরকার গড়ার প্রশ্নে ম্যাজিক সংখ্যা থেকে ৩২টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। ফলে বেড়ে গিয়েছে শরিক নির্ভরতা। যার সুযোগ নিয়ে দর কষাকষি শুরু করছে শরিক দলগুলি। এই আবহে আজকের বৈঠকে ছিলেন দত্তাত্রেয় হোসবলে, অরুণ কুমারের মতো আরএসএসের নেতারা।
রাজনীতির অনেকের মতে, চলতি নির্বাচনে বিজেপি ও সঙ্ঘকর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট হয়েছে। যে কারণে গো-বলয়ে হিন্দু ভোট ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। এ বছরে জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন। সূত্রের মতে,তার আগেই উভয় শিবিরই দূরত্ব কমানোর উপরে জোর দিয়েছে। পাশাপাশি আজ শরিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আরএসএস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। সূত্রের মতে, এ বারের মন্ত্রিসভায় নতুনদের আরও বেশি করে সুযোগ দেওয়ার পক্ষপাতী সঙ্ঘ পরিবার। বৈঠকে তা বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হয়।
দলের সভাপতি জেপি নড্ডার মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। তাঁর পরিবর্তে আগামী দিনে কার হাতে দলের দায়িত্ব দেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্রের মতে, পরবর্তী সভাপতি হিসেবে হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশ, দুই রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে মনোহরলাল খট্টর ও শিবরাজ সিংহ চৌহানের মধ্যে এক জনকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি তিন বার টানা জিতে আসা নিতিন গডকড়ীকেও আরও বেশি দায়িত্ব দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন আরএসএস নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, দু’বার বিজেপি একার ক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় ক্রমশ বিজেপির উপর থেকে রাশ আলগা হয়ে পড়েছিল সঙ্ঘ পরিবারের। এ বারের ফলাফল রাশ শক্ত করার সুযোগ দিয়েছে।