Lok Sabha Election 2024

শুধু মৌখিক বিদ্রোহই নয়, দার্জিলিঙে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়নও জমা দিলেন ‘ভূমিপুত্র’ বিধায়ক

দার্জিলিঙে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলেরই বিধায়ক নির্দল হিসাবে লড়তে চাওয়ায় পাহাড়ে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্মশিবির। বিধায়ককে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৭:১২
Share:

(বাঁ দিকে) রাজু বিস্তা এবং বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। —ফাইল চিত্র।

দার্জিলিঙে ‘ভূমিপুত্র’কে প্রার্থী না করলে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজেই লড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। সেই মতো শনিবার মনোনয়ন জমা দিলেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। যা নিয়ে পাহাড়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্মশিবির। বিষ্ণুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা। তাঁর চ্যালেঞ্জ, পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা ভোটে লড়ুন বিধায়ক।

Advertisement

পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে শনিবার দার্জিলিঙের মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিষ্ণু। তাঁর বক্তব্য, দলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর। কিন্তু দলীয় প্রার্থীকে তাঁর পছন্দ নয়। বিষ্ণু বলেন, ‘‘আমি কখনওই দলের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু দল যাঁকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আমি। আমার দাবি, আলাদা রাজ্য। দল নিজের সংকল্পপত্রে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের (পিপিএস) কথা লিখেছে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে জানিয়েছিল, যে হেতু নির্বাচন চলছে, তাই আলাদা রাজ্য বলা যাচ্ছে না। পিপিএস হিসেবে লিখেছে। দল নিজের সংকল্পপত্রে যা লিখেছে, সেটাই আমার দাবি। তা হলে আমি দলের বিরুদ্ধে নই।’’

তবে বিষ্ণুর বক্তব্য, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান মানে যদি আলাদা রাজ্য না হয়, তা হলে সেটা দলকে পরিষ্কার করতে হবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘যদি দল মনে করে পিপিএস মানে আলাদা রাজ্য নয়, তা হলে ২৪ ঘণ্টা মধ্যে তা স্পষ্ট করতে হবে। দল বলে দিক, পিপিএস মানে আলাদা রাজ্য নয়। দল আলাদা রাজ্যের বিরুদ্ধে। আমি প্রায় মাস দেড়েক ধরে ভূমিপুত্রের দাবি করে আসছি। আমি পাহাড়ের জনগণের সঙ্গে আছি। তাঁদের দাবি মেনে আলাদা রাজ্যের পক্ষে আছি।’’

Advertisement

পাল্টা বিস্তা বলেন, ‘‘লোকতন্ত্রে সকলের অধিকার রয়েছে নির্বাচন লড়ার। আমার তরফে তাঁকে অনেক শুভকামনা। তবে ভাল হত যদি বিধায়ক পদ থেকে উনি আগে পদত্যাগ করতেন। জনতার স্বার্থে লড়ার জন্য আলাদা সহানুভূতি পেতেন। আমি বিধায়কও থাকব, আবার লোকসভা নির্বাচনেও লড়ব! এর থেকে পরিষ্কার, তাঁর সাংসদ হওয়ার খুব ইচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement