দিলীপ ঘোষের পাশে লক্ষ্মীকান্ত সাউ। —ফাইল ছবি।
গত রবিবার সাংগঠনিক বৈঠক করে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার তিন দিনের মাথায় বড় রদবদল হল মেদিনীপুরে বিজেপির সংগঠনের। মেদিনীপুর থেকে আগেই সরেছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। এ বার সরলেন দলের তরফে নিযুক্ত এই লোকসভা কেন্দ্রের ইনচার্জ, জয়েন্ট ইনচার্জও। এই রদবদল করেছেন দলের রাজ্য নেতৃত্বই।
মেদিনীপুর লোকসভায় দলের ইনচার্জ ছিলেন সুনীপ দাস, জয়েন্ট ইনচার্জ লক্ষ্মীকান্ত সাউ। দিলীপের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীকান্ত দীর্ঘদিন ওই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দিলীপের আদি বাড়ি গোপীবল্লভপুরে। লক্ষ্মীকান্তর আদি বাড়িও সেখানেই। দলের এক সূত্রে খবর, ক’দিন আগেই লক্ষ্মীকান্তকে রাজ্য নেতৃত্ব মৌখিকভাবে জানান, তাঁকে মেদিনীপুরের এই দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার এ নিয়ে লিখিত নির্দেশিকা বেরিয়েছে। এই লোকসভায় দলের তরফে নয়া ইনচার্জ নিযুক্ত করা হয়েছে সিদ্ধার্থ মজুমদারকে। নয়া জয়েন্ট ইনচার্জ শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, শীঘ্রই সিদ্ধার্থরা মেদিনীপুরে আসবেন। তাঁদের উপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক বৈঠকও হবে।
সামনে লোকসভা ভোট। ভোটের মুখে কেন লক্ষ্মীকান্তদের ওই দায়িত্ব থেকে সরাল রাজ্য বিজেপি? তাঁরা দিলীপের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই কি? এ সব নিয়ে জল্পনার মধ্যেই জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, ‘‘এটা সাংগঠনিক ব্যাপার। সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের।’’ জেলা বিজেপির এক সহ-সভাপতি জুড়ছেন, ‘‘মনে হয়, লোকসভা ভোটের মুখে দলের সাংগঠনিক কাজে গতি আনতেই ওই দুই পদে পরিবর্তন করা হয়েছে।’’
মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপকে এ বার বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছে দল। মেদিনীপুরে বিজেপির প্রার্থী আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। দিলীপ-শুভেন্দুর সম্পর্ক শীতল। ফলে দিলীপের বর্ধমান-দুর্গাপুরে চলে যাওয়া, আর অগ্নিমিত্রার মেদিনীপুরে আসার পিছনে শুভেন্দুর পরোক্ষ ‘হাত’ রয়েছে কি না, সে নিয়ে নানা মহলে চর্চা রয়েছে। দিলীপের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ ছিল খড়্গপুরের (সদর) বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। হিরণও এ বার ঘাটাল লোকসভায় প্রার্থী হয়েছেন। দিলীপ সরার পরে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে শুভেন্দুর এ জেলায় আসাও শুরু হয়েছে।