—প্রতীকী চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি লোকসভা আসনে ভোটপর্ব মিটে গিয়েছে। আরও ২৪টি আসনে ভোট বাকি। সেই সব আসনে ভোটের কাজে গতি আনতে এ বার ভিন্ রাজ্যের নেতাদের নির্বাচনে দায়িত্ব দিয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, অসম, ছত্তীসগঢ়ের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোট হয়ে গিয়েছে। তাই মূলত সেই সব রাজ্যের নেতাদেরই ভোটের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে বলেই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর।
সব লোকসভা কেন্দ্রে বিধানসভা ভিত্তিক নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন দক্ষিণ কলকাতার ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজস্থানের নেতাদের। তাঁরা ভবানীপুর, রাসবিহারী, কসবা, বালিগঞ্জ, কলকাতা বন্দর ও বেহালা পূর্ব এবং পশ্চিম কেন্দ্রে পৃথক ভাবে কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজস্থানের সিকার জেলার সভাপতি বিষ্ণু চেতানিকে। এ বার বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র। সেই লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে অসমের বিজেপি নেতাদের। একই ভাবে উত্তর কলকাতা, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলি, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, বারাসত, বনগাঁ, যাদবপুর, মথুরাপুর, জয়নগর এবং ডায়মন্ড হারবারের মতো আসনগুলিতেও ভিন্ রাজ্যের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
মণ্ডলের শক্তি প্রমুখদের সঙ্গে বৈঠক করে বুথ স্তরের সাংগঠনিক অবস্থার কথা জানতে চাইছেন তাঁরা। ভোটের প্রস্তুতি কীভাবে করা হবে, তা-ও জানতে চাওয়া হচ্ছে। বিজেপির এক দক্ষিণ কলকাতার নেতার কথায়, ‘‘এ বার লোকসভা ভোটে দেশব্যাপী ভোটদানের হার খুব কম। তাই বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন, আগামী দফাগুলিতে যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশি ভোটদান হয়, সেই প্রচেষ্টাতেই অন্য রাজ্যের নেতাদের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।’’
যে কোনও এলাকায় ভোটদানের আগেই বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের সেই লোকসভা এলাকায় থাকার অনুমতি থাকে না। তাই ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে নিজেদের কাজ শেষ করে লোকসভা কেন্দ্র ছেড়ে তাঁদের বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, বাংলায় বিজেপির সংগঠন দুর্বল বলেই জেনে এসেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই ভোটের আগে অন্য রাজ্যের নেতাদের ভোটের প্রস্তুতিপর্বে কাজে লাগানো হচ্ছে।