খড়্গপুরের রবীন্দ্রপল্লিতে প্রচারে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা। ছবি: কিংশুক আইচ।
দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী এ বার অগ্নিমিত্রা পাল। ভোট প্রচারের প্রথমদিন থেকেই গেরুয়া শিবিরের দিলীপ-পন্থীদের পাশে পেতে সচেষ্ট তিনি। সেই মতো ভোট প্রচারেও অগ্নিমিত্রার বক্তব্যেও বারবার উঠে এসেছে ‘দিলীপদা’ এবং তাঁর সম্পর্কে ‘ইতিবাচক’ নানা প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে তিনি আঁকড়ে থেকেছেন সাম্য ও ভারসাম্যের রাজনীতিও। তবে এ দিন দিলীপ ঘোষের ‘খাসতালুক’ রেলশহর খড়গপুরে ভোট প্রচারে এসে অগ্নিমিত্রা দেখলেন, তাঁর কর্মসূচি কার্যত ভিড়হীন। এমন দাবিতেই সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির।
শুক্রবার প্রার্থী হিসেবে খড়্গপুরে প্রথমদিনের প্রচার কর্মসূচি ছিল বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার। ছিল জনসংযোগও। সেই জনসংযোগে প্রার্থীকে ঘিরে ছিলেন বিজেপির কয়েকজন নেতা-কর্মী। তবে তৃণমূলের দাবি, দেখা যায়নি ভিড়। দিলীপ ‘গড়ে’ বিজেপি প্রার্থীর প্রথম প্রচারে কেন এমন ছবি? তৃণমূলের দাবি— পুরোটাই ‘দিলীপ-ফ্যাক্টর’। যদিও বিজেপির দাবি— প্রচার নয়, এ দিন ছিল চা-চক্র ও দেওয়াল লিখন!
শুক্রবার খড়্গপুর শহরে প্রচার শুরু করলেন মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা। এর আগে বুধবার রাতে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে খড়্গপুর শহরের গেটবাজারের কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন অগ্নিমিত্রা। এর পরে এ দিনই প্রথম শহরে এসে জনসংযোগে নামেন অগ্নিমিত্রা। বুধবার রাতেই বিজেপির পক্ষ থেকে সেই প্রচারের সূচি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায় এ দিন শহরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকার শিবমন্দিরে পুজো দেবেন বিজেপি প্রার্থী। এর পরে রবীন্দ্রপল্লিতেই করবেন চা-চক্র ও দেওয়াল লিখন। শেষে প্রেমবাজারে গিয়ে করবেন জনসংযোগ। এ দিন রবীন্দ্রপল্লি থেকে প্রেমবাজারে শহরের একাংশ বিজেপির পুর-প্রতিনিধিদের দেখা গেলেও, বিজেপির সব পুর-প্রতিনিধি বা নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি। এমনকি প্রেমবাজারে জনসংযোগেও ভিড় নজর কাড়েনি বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। যদিও এ দিন প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিমিত্রা বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয়বারের জন্য মোদীজি ফের দিল্লির মসনদে বসবেন, প্রধানমন্ত্রীও হবেন।’’
অবশ্য অগ্নিমিত্রার প্রচারে লোক না হওয়া ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘বিজেপি বলে এখানে আর কিছু নেই। দিলীপ ঘোষ ওদের সংগঠনটা কিছুটা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও দিলীপ ঘোষকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়াটা মন থেকে মানতে পারছেন না তাঁর অনুগামীরা।’’ অবশ্য ভিড় না হওয়ার দাবি মানতে নারাজ খড়্গপুরের দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শ্রীনাথ সিনহা। তাঁর কথায়, ‘‘এটা প্রচার, রোড-শো বা মিছিল ছিল না। শুধু চা-চক্র ও দেওয়াল লিখন ছিল। সমস্ত কর্মসূচি ছিল একটি ওয়ার্ডকে ঘিরে।’’ যদিও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কর্মসূচিতে এ দিন গিয়েছিলেন শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি পুর-প্রতিনিধি অনুশ্রী বেহেরাও। তাঁর দাবি, ‘‘ভিড় তো ভালই ছিল!’’