Dilip Ghosh

জোড়া চাপে দিলীপ, দলীয় নেতৃত্বের পরে চিঠি নির্বাচন কমিশনেরও, মমতা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের জের

গত বিধানসভা নির্বাচনেও দিলীপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। সেই বার ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্রচার বন্ধ রেখে বাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৯
Share:
After party election commission sekd show cause letter to BJP leader Dilip Ghosh

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে মঙ্গলবারই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিঠি দিয়ে দিলীপ ঘোষকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন। কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে দলের বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনের প্রার্থীকে। সেই নির্দেশ মেনে দিলীপ বুধবার প্রকাশ্যে তাঁর মন্তব্য নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। এর পরে নির্বাচন কমিশনও দিলীপকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠাল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি নির্দেশ মতো দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে সাংবিধানিক রীতিকে মর্যাদা দিয়ে কমিশনকে জবাব দেব।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে দিদি গোয়াতে গিয়ে বলেন গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন ত্রিপুরার মেয়ে।’’ এর পরেই তিনি মমতার উদ্দেশে তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে কুরুচিকর ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

দিলীপের মঙ্গলবার সকালের বক্তব্যের পাল্টা প্রচার শুরু করে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনে নালিশও জানায়। তার পরেই মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চিঠি পান দিলীপ। যেখানে বলা হয়েছে, “মাননীয় দিলীপ ঘোষ, আপনার আজকের বক্তব্য অশোভনীয় এবং অসংসদীয়। ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির পরিপন্থীও। দল এই বক্তব্যের নিন্দা করছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার নির্দেশানুসারে আপনি যত দ্রুত সম্ভব আপনার আচরণের ব্যাখ্যা দিন।” তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিতে কী লিখবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে আনন্দবাজার অনলাইনকে দিলীপ বলেন, ‘‘সেটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি কী লিখব, সেটা শুধু তাঁরা জানবেন যাঁদের লিখব।’’ কমিশনের নোটিস নিয়েও একই বক্তব্য দিলীপের। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনেও দিলীপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্রচার বন্ধ রেখে বাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল। নীলবাড়ির লড়াইয়ের মতো দিল্লিবাড়ির লড়াইয়েও দিলীপকে নিয়ে বিতর্কে শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখে স্বীকার না করলেও পর পর দুই চিঠিতে অনেকটাই যে চাপে দিলীপ, তা মানছেন দলের অনেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement