— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট মিটতেই বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র বা ইভিএম নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিসিভিং সেন্টার থেকে স্ট্রং রুমে। ওই ইভিএম পাহারা দেওয়ার জন্য প্রতিটি স্ট্রং রুমে এক প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্থাৎ ২৪ জন জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। তবে স্ট্রং রুমের বাইরে দায়িত্বে থাকছে রাজ্য বা কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর, স্ট্রং রুমকে কেন্দ্র করে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম স্তর, অর্থাৎ স্ট্রং রুমের সবচেয়ে বাইরের বেষ্টনীতে বন্দুক হাতে থাকবেন কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। দ্বিতীয় স্তরে থাকবেন লাঠিধারী পুলিশকর্মীরা। আর স্ট্রং রুমের সবচেয়ে কাছে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি স্ট্রং রুমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক প্লাটুন জওয়ানের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের এক জন সহকারী নগরপালের নেতৃত্বেও থাকবে বাহিনী। তাঁদের উপরে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা দেখাশোনার জন্য থাকবেন এক জন করে উপ নগরপাল। আগামী মঙ্গলবার, ভোট গণনার দিন পর্যন্ত এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এর জন্য ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকছে কলকাতা পুলিশের প্রায় দু’হাজার কর্মী।
লালবাজার জানিয়েছে, তাদের এলাকায় মোট ১৪টি স্ট্রং রুম রয়েছে। সেগুলিতে যাদবপুর, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ এবং ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ইভিএম রাখা রয়েছে। কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন সাতটি বিধানসভার ইভিএম রাখা থাকছে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। গণনার দিন ওই ইভিএম চলে যাবে পাশেই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। নেতাজি ইনডোর ছাড়া স্ট্রং রুম করা হয়েছে আলিপুরের হেস্টিংস হাউস
কমপ্লেক্সে। সেখানে সাতটি গণনা কেন্দ্রে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে। এ ছাড়া, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের
অধীন সাতটি বিধানসভার গণনা হবে বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ইভিএম রাখা হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ঠাকুরপুকুরের বিবেকানন্দ কলেজ, জোকা ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম, খিদিরপুরের সেন্ট টমাস বয়েজ হাইস্কুল, সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুল, বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল এবং বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিটি স্ট্রং রুম সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। স্ট্রং রুমে বহিরাগতদের প্রবেশ আটকাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন এবং কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুর-সহ একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কলকাতা পুলিশের এলাকায় সেই প্রশ্ন যাতে না ওঠে, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে খবর।