সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের দলীয় প্রার্থিতালিকায় নিজের নাম না থাকায় তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী-নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই খবর তৃণমূল সূত্রে। রবিবার দলকে পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছেন তিনি।
ব্রিগেডের ‘জনগর্জন সভা’র মঞ্চ থেকে আসন্ন লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তালিকায় অনেক নতুন নাম থাকলেও টিকিট পাননি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবারেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে সায়ন্তিকা তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন।
বাঁকুড়া লোকসভা থেকে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশী ছিলেন সায়ন্তিকা। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে যখন প্রবেশ করেন, তখন বেশ চনমনেই দেখাচ্ছিল তাঁকে। মঞ্চে আরও যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েক জন জানান, অভিষেক প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করতেই দেখা যায়, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অরূপ চক্রবর্তীকে। এর পরেই হতাশায় মুখ ঢেকে যায় সায়ন্তিকার। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার পর র্যাম্পওয়াক সেরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এ দিনের সভা শেষ করা হয়। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করেননি তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তার আগেই ফোনে কথা বলতে বলতে মঞ্চ থেকে নেমে যান সায়ন্তিকা।
ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট না পেয়ে অর্জুন সিংহও হতাশ, ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যেই তা জানিয়েছেন অর্জুন। কিন্তু তিনি জাতীয় সঙ্গীত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত মঞ্চ ছাড়েননি।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন সায়ন্তিকা। বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানা-র কাছে হেরে যান তিনি। তবে ভোটে হারলেও অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের রাজ্য সম্পাদকও করা হয় তাঁকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, বাঁকুড়া লোকসভা থেকে টিকিট পাবেন বলে নিশ্চিত ছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু শেষমেশ প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে। তার পরেই এই পদক্ষেপ।