গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁকে ‘খোঁচা’ দিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন অভিষেক। তার একটি নারদকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। দ্বিতীয়টি সেই শুভেন্দুই অভিজিতের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন।
এক্স পোস্টে অভিষেক লিখেছেন, ‘‘১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাওয়া প্রসঙ্গে: সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া থেকে সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা এক জনের হাত ধরে যোগ দিলেন।’’ অভিষেক এ-ও লিখেছেন, ‘‘এই ছবি আরও এক বার দেখিয়ে দিল বিচার ব্যবস্থার একাংশের সঙ্গে বিজেপির কী সমীকরণ। যা বাংলার স্বার্থ বিরোধী।’’
মঙ্গলবার হাই কোর্টে গিয়ে জিপিও মারফত দেশের রাষ্ট্রপতিকে বিচারপতি পদ থেকে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন অভিজিৎ। তার পরে সল্টলেকের বাড়িতে ফিরে দীর্ঘ এবং একক সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে অভিষেকের নাম না করে ‘তালপাতার সেপাই’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার পর অভিষেক পাল্টা বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির নেতারা ভাববাচ্যে কথা বলেন। আমার নাম নেওয়ার সৎ সাহস নেই। আর এক জনকে দেখলাম।’’ বৃহস্পতিবার অভিজিৎ বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁকে বিঁধলেন অভিষেক।
মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে নারদ ‘ফুটেজ’ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে অভিজিতের জবাব ছিল, ‘‘শুভেন্দু চক্রান্তের শিকার।’’ তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘তবে কি তৃণমূলের যে নেতাদের নারদের ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, তাঁরাও চক্রান্তের শিকার?’’ যাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছিল তৃণমূল। বিজেপিরও অস্বস্তি বাড়িয়েছিল বলে ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন পদ্মশিবিরের নেতারা।
বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পদত্যাগী বিধায়ক তাপস রায়। সেখানেও ছিলেন শুভেন্দু এবং রাজ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই ছবিও এক্সে পোস্ট করেছিলেন অভিষেক। লিখেছিলেন, ‘‘বিজেপির ওয়াশিং মেশিনের গল্প চলছেই। তাপস রায় বাংলা-বিরোধী দলে যোগ দিলেন। তাঁর বাড়িতে ইডি হানার দু’মাসের মধ্যে এই যোগদান।’’ সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল চেয়ারে বসে থাকা সুকান্ত-শুভেন্দুকে ঝুঁকে পড়ে হাতজোড় করে নমস্কার করছেন। অভিষেক লিখেছিলেন, ‘‘এই ছবি বিজেপির জমিদারি মানসিকতাকে আরও এক বার প্রকাশ্যে আনল।’’