(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাঘব চড্ডা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা অখিলেশ সিং যাদবের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকের পরেই ফের বৈঠকে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার আম আদমি পার্টি (আপ)-র সঙ্গে। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে দিল্লিতে অভিষেকের বাড়িতে যান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের দুই শীর্ষনেতা সঞ্জয় সিংহ এবং রাঘব চড্ডা। তিন নেতা বৈঠক করেন। তবে দু’টি বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এগুলি ‘সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ’। তবে ভোটের পর বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে সমান্তরাল কোনও সমীকরণ তৈরি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে একাংশের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
বুধবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সব শরিক দলের নেতারা। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎই দিল্লিতে অখিলেশের বাড়ি পৌঁছে যান অভিষেক। বাড়ির প্রবেশদ্বারের বাইরে বেরিয়ে অভিষেককে স্বাগত জানান মুলায়ম-পুত্র। কাঁধে হাত রেখে নিয়ে যান বাড়ির ভিতরে। তার পর দুই নেতার মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়। তবে বৈঠকের নির্যাস নিয়ে দু’পক্ষই কিছু জানায়নি। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের পরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে সবচেয়ে বেশি আসন এনে দিয়েছে অখিলেশের দল সমাজবাদী পার্টি। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশে ৩৭টি আসন জিতেছে তারা। তার পরেই রয়েছে ২৯টি আসন পাওয়া তৃণমূল। এমনিতেই বিরোধী দলগুলির মধ্যে এসপি এবং আপের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়া বেশ ভাল। সেই সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই এ বার উত্তরপ্রদেশের ভদোহী কেন্দ্রটি তৃণমূলের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন অখিলেশ। যদিও সেই আসনে জেতে বিজেপি। অন্য দিকে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ে একটি আসনও পায়নি আপ। তবে পঞ্জাবে তারা তিনটি আসনে জয় পেয়েছে।