কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। ছবি: পিটিআই।
নির্বাচন শেষের বেশ কয়েক দিন পরে প্রথম দু’ফার ভোটের হার বৃদ্ধি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী নেতানেত্রীদের অনেকেই নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটপর্ব শেষের পরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হল কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে লেখেন— ‘আশা করি ভারতের নির্বাচন কমিশন দেরি না করে তৃতীয় ধাপের ভোটের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে’। এর পরেই তাঁর খোঁচা, ‘প্রথম দফার ভোটের ১১ দিন এবং দ্বিতীয় দফার ভোটপর্বের চার দিন পরে সেই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছিল কমিশন’।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা এবং ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় লোকসভার ভোটগ্রহণ পর্ব ছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে কত শতাংশ ভোট পড়েছে, গত ৩০ এপ্রিল তার চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোট হয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ দিন পর এই চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। কমিশন সূত্রে ২০ তারিখ জানা গিয়েছিল, প্রাথমিক হিসাবে প্রথম দফায় দেশে ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
দ্বিতীয় দফার ভোটের পর কমিশনের তরফে জানানো হয়, দেশে গড়ে ভোট পড়েছে ৬০.৯৬ শতাংশ। কিন্তু ৩০ এপ্রিল কমিশনের তরফে নতুন বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রথম দফায় দেশে ৬৬.১৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। অর্থাৎ, আগে যা জানা গিয়েছিল, তার চেয়ে প্রায় ছয় শতাংশ বেড়ে গিয়েছে কমিশনের হিসাব। এই ভোট বৃদ্ধি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টি নিয়ে কমিশনকে চিঠিও পাঠিয়েছেন।
৩২ পাতায় তথ্যসম্বলিত ওই চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা ভোটগ্রহণ নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট এবং পরে প্রকাশিত চূড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সঙ্গে তিনটি দাবি জানানো হয়েছে কমিশনের কাছে। প্রথম দাবি— লোকসভা ভিত্তিক কত ভোটদাতা, তা জানাতে হবে। দ্বিতীয় দাবি— কত বৈধ ভোটার ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন তা-ও বিস্তারিত জানাতে হবে। সেই সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোটারপিছু কত ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সে কথাও তৃতীয় দাবিতে জানতে চাওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে।