খাগড়াগড় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ধৃত জিয়াউল হককে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার দুপুরে তাকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, জিয়াউলকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। ওই বিস্ফোরণে নিহত শাকিল আহমেদের স্ত্রী রাজিয়া বিবি, আহত আব্দুল হাকিম, তার স্ত্রী আলিমা বিবি, হাসেম মোল্লা এবং জিয়াউল হক। এর মধ্যে জিয়াউল বাদে বাকি চার জনকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় এক মাসের মাথায় গত শুক্রবার সেই খাগড়াগড়ের কিলোমিটার খানেক দূরের একটি বাড়ি থেকে জিয়াউলকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ওই তদন্ত সংস্থার দাবি, পেশায় স্কুলশিক্ষক জিয়াউল আদতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সক্রিয় সদস্য। এমনকী, সে সীমান্ত পেরিয়ে ওই সংগঠনের শিবির থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এর পর সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু মাদ্রাসায় সে জেহাদি সংক্রান্ত প্রচার চালাত। মালদহের কালিয়াচকে পৈতৃক বাড়ি জিয়াউলের। তার বাবাও পেশায় স্কুলশিক্ষক।