১০০ দিন পেরোলেও অধরা বিমান উধাও রহস্য

১০০ দিন অতিক্রান্ত। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের উধাও এমএইচ ৩৭০ উড়ানের এখনও কোনও হদিশ মিলল না। মালয়েশীয় সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে, ওই বিমানের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত সন্ধানকাজ চলবে। তবে, সরকারি সেই প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রাখতে পারছেন না ওই উড়ানের যাত্রীদের পরিজনেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৪ ১৪:২৮
Share:

১০০ দিন অতিক্রান্ত। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের উধাও এমএইচ ৩৭০ উড়ানের এখনও কোনও হদিশ মিলল না।

Advertisement

মালয়েশীয় সরকার মঙ্গলবার জানিয়েছে, ওই বিমানের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত সন্ধানকাজ চলবে। তবে, সরকারি সেই প্রতিশ্রুতিতে ভরসা রাখতে পারছেন না ওই উড়ানের যাত্রীদের পরিজনেরা।

গত ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুর থেকে বেজিং-এর দিকে রওনা দেয় বিমানটি। স্থানীয় সময় অনুযায়ী তখন রাত ১২টা ৪১। বেজিং পৌঁছনোর কথা ছিল ভোর সাড়ে ৬টায়। কিন্তু রাত ২টো ৪০ মিনিটের পর কুয়ালা লামপুরের শহরতলি সুবাঙ্গের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের র্যাডার থেকে হারিয়ে যায় বিমানটি। সেই শেষ। তার পরে এখনও পর্যন্ত কোনও হদিশ মেলেনি ওই উড়ানের। ২ শিশু-সহ ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী ছিলেন ওই বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর বিমানটিতে। মালয়েশিয়া, চিন, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ একসঙ্গে সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কিন্তু ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও বিমান উধাও রহস্য এখনও অধরা।

Advertisement

শনিবারই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক টুইটারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ওই বিমানযাত্রীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে দেশের পরিবহণমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হুসেন বলেন, “এমএইচ ৩৭০-এর সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। অনুসন্ধান চলবে।”

উদ্ধারকাজে মালয়েশিয়ার ভূমিকা প্রথম দিন থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়ে। বিমানটিতে সফররত যাত্রীদের আত্মীয়েরা বিভিন্ন সময় তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সরকারের প্রতি। ১০০ দিন শেষেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যেমন স্টিফেন ওয়াঙ্গ। তাঁর মা ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন। এ দিন স্টিফেন বলেন, “প্রথম দিন থেকেই মালয়েশিয়ার দাবি তারা বিমান খুঁজতে যথেষ্ট তৎপর। কিন্তু ১০০ দিন পেরিয়ে এসেও সেই তৎপরতার কোনও নমুনা আমরা দেখতে পাইনি।” সন্ধানকাজ এই ভাবে চললে আশার কোনও আলো আদৌ দেখা যাবে কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দিহান তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement