অরূপ ভাণ্ডারী।
সালকিয়ার প্রতিবাদী যুবক অরূপ ভাণ্ডারীর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মসমর্পণ করল আর এক অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রের খবর, শুভম দুবে নামে ওই যুবক বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁর আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আচমকাই হাওড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পন করে। অরূপকে মারধরের ঘটনায় সে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। তাঁর নামে এফআইআর-ও ছিল। পুলিশের দাবি, বছর বাইশের ওই যুবক ঘটনার পর দিন ভোরে অন্য রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল বলে তাদের জানিয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০টা নাগাদ সরস্বতী পুজোর ভাসানের সময় কয়েক জন তরুণীকে উত্যক্ত করছিল এলাকারই কিছু যুবক। অরূপ প্রতিবাদ করায় ওই এলাকারই তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে তাঁকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারা হয়। এমনকী, দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসের সামনে রাখা একটি লোহার চেয়ার দিয়ে অরূপের মাথায় ও শরীরের নানা অংশে ক্রমাগত আঘাত করে বলে অভিযোগ। এর পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে সেখানেই মারা যান কোমায় চলে যাওয়া হাওড়ার বিবিবাগান এলাকার হৃষিকেশ ঘোষ লেনের বাসিন্দা অরূপ ভাণ্ডারী। অরূপের বাড়ির তরফে গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় শুভম দুবে, আনন্দ প্রসাদ, বরুণ শর্মা, সন্দীপ তিওয়ারি এবং রাজু তিওয়ারির বিরুদ্ধে। পরে এই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। এর পর সিটি পুলিশ রাজু তিওয়ারি নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা অধরাই থেকে যায়।