কখনও জুতোর সোলের ভিতরে, কখনও বিশেষ জ্যাকেটে, কখনও আবার পায়ুতে— এ রকম নানা অভিনব কায়দায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে দিব্যি পাচার হয়ে যাচ্ছে সোনা। নিরাপত্তার বেড়াজাল যত বাড়ানো হয়েছে, তত বেশি করে সচেতন হয়েছে পাচারকারীরা। একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ তো সঙ্গে সঙ্গেই অন্য কায়দার প্রয়োগ! কখনও কখনও বিমানবন্দরের কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সোনা পাচার থেমে থাকেনি।
কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে ঘন ঘন সোনা পাচারের ঘটনায় যখন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন শুল্ক দফতর ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে সোমবার চেন্নাই ও তিরুচিরাপল্লি বিমানবন্দর থেকে ১০ কেজি সোনা উদ্ধার করলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সোনার আর্থিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে সাড়ে ৭ কেজি সোনা-সহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।
গোপন সূত্রে সোনা পাচারের খবর পেয়ে ওই দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় চেন্নাই বিমানবন্দরে। তামিম আনসারি, মহম্মদ ও বশির নামে তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করার পর উদ্ধার হয় সোনা। এরা সকলে কলকাতা থেকে এসেছিল বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ওই রাতেই তিরুচিরাপল্লি বিমানবন্দর থেকে ৪৪ লাখ টাকার সোনার বার-সহ জাহির হুসেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। অন্য দিকে,
সোমবার সকালেও দেড় কেজি সোনার বিস্কুট-সহ সামসির নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের আর্থিক মূল্য প্রায় ৪২ লাখ টাকা।