রামপুরহাটে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। মঙ্গলবার পিটিআই-এর তোলা ছবি।
রেলের স্বাস্থ্য ফেরাতে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য মাসুল বাড়ানোর কড়া দাওয়াই মানতে নারাজ এনডিএ সরকারের শরিকেরাই। কেন্দ্রে ক্ষমতা দখলের এক মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে নিজেদের সাংসদদেরই বিরোধিতার মুখে পড়তে হল মোদী সরকারকে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশ জুড়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। মঙ্গলবার দুপুরে যাদবপুরের ৮বি বাস স্ট্যান্ড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তারা। এ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধের কর্মসূচি নিয়েছিলেন কংগ্রেসের সমর্থকেরা। বীরভূমের রামপুরহাট, কলকাতার বেলঘরিয়া, বিরাটি, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর, সোদপুর ও বসিরহাটের ভ্যাবলায় রেল অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত হয় যাত্রী পরিষেবা। এই অবরোধ-কর্মসূচির জেরে যাত্রীরা নাজেহাল হন। অবরোধ সরানোর পর অবশ্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস মজুমদার বলেন, যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এ দিনের রেল অবরোধ তুলে নেওয়া হল।
রেলের কোষাগারকে চাঙ্গা করতে যাত্রী ভাড়া ১৪.২% শতাংশ এবং পণ্য মাসুলে ৬.৫% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মোদী সরকার। বুধবার, ২৫ জুন থেকে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু এর পরই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয় বিরোধীরা।
গত ১৬ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনেই ভাড়া ও পণ্য মাসুল বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু সমালোচনার মুখে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের উপরে ছেড়ে দেন তৎকালীন ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তবে, লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রে ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে ইউপিএ-র অন্যতম প্রধান দল কংগ্রেস। যদিও মহারাষ্ট্রে বিজেপির অন্যতম শরিক শিবসেনার বিরোধিতায় অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্র। আগামী অক্টোবরে ওই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে শক্ত জমি পেয়েছে মহারাষ্ট্রে গত ১৫ বছরে বিরোধী আসনে বসা বিজেপি-শিবসেনা জোট। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও ভাল ফলের আশায় রয়েছে তারা। এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার সঙ্গে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি ও শিবসেনার কয়েক জন সাংসদ। তাঁরা জানান, রেলমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।