বুধবার আবার হোঁচট খেল ‘ব্লু ফিন’। তবে অভিযান এর জন্য কিছুটা থমকালেও পণ্ড হয়নি।
সোমবার থেকে সমুদ্রের তলায় নিখোঁজ মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-ইআর-এর সন্ধানে নেমেছে ‘ব্লু ফিন’। ঠিক ছিল, ‘ব্লু ফিন’-এর অভিযান ২০ ঘণ্টা স্থায়ী হবে। এর মধ্যে সমুদ্রের তলায় ডুব দিতে আর উঠতে চার ঘণ্টা সময় লাগবে। বাকি ১৬ ঘণ্টা ‘ব্লু ফিন’ সমুদ্রের তলার ‘সোনার ম্যাপিং’ (শব্দ ব্যবহার করে মানচিত্র তৈরির কাজ) করবে। কিন্তু প্রথম দিনেই সমুদ্রের তলার গভীরতা যন্ত্রে সরবরাহ করা তথ্যের তুলনায় বেশি থাকায় ‘ব্লু ফিন’-এর সফ্টওয়্যারের ‘সেফটি মেকানিজম’ অভিযান বাতিল করে দেয়।
বুধবার আবার ‘ব্লু ফিন’-কে নামানো হয়। ডুব দিয়ে ‘ব্লু ফিন’ ঠিকমতো কাজও শুরু করেছিল। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ‘ব্লু ফিন’কে উঠে আসতে হয়ে বলে ‘জয়েন্ট এজেন্সি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ (জেএসিসি) সূত্রে খবর। তবে ‘ব্লু ফিন’ যতটুকু কাজ করেছিল সে তথ্য ডাউনলোড করা সম্ভব হয়েছে। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে অবশ্য নিখোঁজ বিমান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। ঠিক কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য ‘ব্লু ফিন’-কে উঠে আসতে হয় তা বিশদে জানা যায়নি।
বুধবার, পারথের ২০৮৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৫৫ হাজার ১৫১ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ১১টি সামরিক বিমান, তিনটি অসামরিক বিমান এবং ১১টি জাহাজ নিখোঁজ বিমানের খোঁজে নামে। ‘ওসান শিল্ড’ থেকে ‘ব্লু ফিন’-কে নামনো হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য উঠে এলেও তথ্য ডাউনলোড করে ‘ব্লু ফিন’কে আবার সমুদ্রের তলায় নামানো হয়।