এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিল আটকাতে পুলিশি চেষ্টা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিল আটকাতে প্রথমে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি এবং পরে পুলিশের লাঠিচার্জকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে উঠল সল্টলেকের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দফতর সংলগ্ন এলাকা। ঘটনার পর মিছিলে থাকা বাম ছাত্র এবং যুব সংগঠনের নেতৃত্বের অভিযোগ, এ দিনের মিছিলে কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় আহত দুই মহিলাকে প্রথমে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁরা। পরে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।
এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া এবং অবিলম্বে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ শুরু করার দাবি নিয়ে তাঁরা মিছিল করার কথা আগে থেকে ঘোষণা করেছিলেন। এমনকী, আগে থেকে কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশকে জানিয়ে অনুমতিও নেওয়া ছিল বলে দুই সংগঠনের নেতাদের দাবি। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলেঘাটা-সল্টলেক সংযোগস্থল থেকে মিছিলটি শুরুর পরে এসএসসি ভবনে পৌঁছনোর আগেই তা আটকে দেয় পুলিশ।
মিছিলে থাকা বাম সংগঠন দু’টির নেতাদের দাবি, মিছিলটি সল্টলেকের ইই-ব্লকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে গিয়ে শেষ করার কথা ছিল। কর্মসূচি অনুযায়ী মিছিল শেষ হয়ে ওই জায়গায় বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচিও রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এসএসসি অফিসে পৌঁছনোর আগেই ব্যারিকেড করে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। তাঁদের অভিযোগ, ব্যারিকেড ঠেলে আগে মিছিল যেতে চাইলে পুলিশ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা লাঠিচার্জ শুরু করে দেয়। এ দিনের কর্মসূচির জন্য ডিউটিতে থাকা পুলিশের বাহিনীতে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না বলেই তাঁদের দাবি। ঘটনার সময় মহিলা পুলিশ না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, মিছিলের জন্য আগে থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল ঠিকই। কিন্তু মিছিল আচমকা অন্য রুট ধরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এমন জায়গায় ঢুকে পড়ে। ফলে তা আটকাতে হয়। পুলিশের অভিযোগ, বাধা পাওয়া মাত্র মিছিলে থাকা লোক জন আচমকা পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুড়তে থাকেন। কয়েক জন দল বেঁধে পুলিশের ব্যরিকেড ঠেলে এসএসসি-র অফিসে ঢুকে যান। মিছিলের বাকিদের ঠেকাতে তখন লাঠি চালানো ছাড়া উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি দেবাশিস ধর।