বিদ্যাসাগর সেতুতে গাড়ি রেখে বৃদ্ধ নিখোঁজ

নিখোঁজ ডায়েরি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও খোঁজ মিলল না ভবানীপুরের বাসিন্দা মুনসী সিংহের। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর টহল দেওয়ার সময়ে পুলিশের চোখে পড়ে লাল রঙের একটি মারুতি গাড়ি। খালি গাড়িটি ব্রিজের উপর রেলিং ঘেষে দাঁড় করানো ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, মুনসীবাবু মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ১৯:১৩
Share:

নিখোঁজ ডায়েরি হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও খোঁজ মিলল না ভবানীপুরের বাসিন্দা মুনসী সিংহের।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর টহল দেওয়ার সময়ে পুলিশের চোখে পড়ে লাল রঙের একটি মারুতি গাড়ি। খালি গাড়িটি ব্রিজের উপর রেলিং ঘেষে দাঁড় করানো ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, মুনসীবাবু মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, তার জেরেই তিনি বিদ্যাসাগর সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী গঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত নদী থেকে কোনও দেহ উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর থেকে পরিত্যক্ত গাড়িটি হেস্টিংস থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর লালবাজার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে ওই গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে মুনসীবাবুর বাড়ির ঠিকানা খুঁজে বের করা হয়। পুলিশ জানায়, বছর পঁচাশির বৃদ্ধ মুনসী সিংহ পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডে তাঁর একটি হোটেল রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়িতে খবর পৌঁছনোর পর পরিবারের সদস্যেরা মুনসীবাবুর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেন ভবানীপুর থানায়।

Advertisement

তাঁর ছেলে ধনরাজ সিংহ শুক্রবার জানান, মুনসীবাবুর স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। ভবানীপুরের নন্দন রোডের একটি ফ্ল্যাটে মুনসীবাবু একাই থাকতেন। এক বছর আগে তাঁর প্রস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে। বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে দু’বার। তবে, বৃদ্ধকে এই মারণ রোগের কথা জানানো হয়নি বলে ধনরাজ জানান। তিনি বলেন, “দিন দশেক আগে বাবা কী ভাবে যেন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জেনে গিয়েছিলেন। বোধহয় কারও সঙ্গে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।”

পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের দায়িত্ব ছেলে সামলালেও সেখানে বৃদ্ধের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বৃহস্পতিবারও বৃদ্ধ গাড়ি নিয়ে হোটেলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এর পরেই গাড়িটিকে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement