তপন দত্ত মামলায় অভিযোগকারীর বক্তব্যে সন্দেহ হাইকোর্টের

বালির জলাভূমি ভরাট বিরোধী আন্দোলনকারী তপন দত্তকে লক্ষ করে আটটি গুলি ছোড়া হল, অথচ তাঁর মোটরসাইকেলের পিছনে বসা যুবকের অক্ষত থাকাকে সন্দেহজনক বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তপনবাবুর স্ত্রীর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “নিহতের মোটরসাইকেলের পিছনে যিনি বসেছিলেন, তাঁর একটিও গুলি লাগেনি। অভিযোগকারীর (পিছনে বসা ওই যুবক) এই বক্তব্যে সন্দেহ হচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৪৩
Share:

বালির জলাভূমি ভরাট বিরোধী আন্দোলনকারী তপন দত্তকে লক্ষ করে আটটি গুলি ছোড়া হল, অথচ তাঁর মোটরসাইকেলের পিছনে বসা যুবকের অক্ষত থাকাকে সন্দেহজনক বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তপনবাবুর স্ত্রীর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “নিহতের মোটরসাইকেলের পিছনে যিনি বসেছিলেন, তাঁর একটিও গুলি লাগেনি। অভিযোগকারীর (পিছনে বসা ওই যুবক) এই বক্তব্যে সন্দেহ হচ্ছে।”

Advertisement

তপনবাবু খুন হন ২০১১ সালের ৬ মে রাতে। খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে তাঁর স্ত্রী প্রতিমাদেবী ২০১২ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ইতিমধ্যে হাওড়া আদালতে খুনের মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। পুলিশ যে পাঁচ অভিযুক্তকে তপন খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল, তাঁদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে নিম্ন আদালতে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে যে মামলা দায়ের হয়, সেই মামলাটির শুনানি ছিল এ দিন।

প্রতিমাদেবীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের কাছে বিচারপতি এ দিন জানতে চান, কত দূর থেকে তপন দত্তকে গুলি করা হয়েছিল, তার কোনও তথ্য তাঁর কাছে রয়েছে কি না। বিকাশবাবু জানান, এমন কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই। বিকাশবাবু জানান, আততায়ীরা তপনবাবুকে লক্ষ করে আটটি গুলি ছোড়ে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, তাঁর দেহে ছ’টি গুলির ক্ষত মিলেছে। এর পরেই ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি দত্ত।

Advertisement

বিকাশবাবু আদালতে জানান, এই মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ বেশ কয়েক জনের নাম রয়েছে। অথচ তদন্তকারীরা তাঁদের কাউকে সাক্ষী করলেন না। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। সরকারি আইনজীবী প্রদীপ রায় আদালতে জানান, মামলার আবেদনকারী প্রতিমাদেবী, নিহতের ভাই ও নিহতের ঘনিষ্ঠ দুই যুবক পুলিশ বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে গোপন জবানবন্দি দেন, তাতে কোথাও মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ওই মহিলা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জানিয়েছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, মামলার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement