কোয়েম্বত্তূরে জয়ললিতার জন্য মহিলাদের প্রার্থনা। ছবি: পিটিআই।
জয়ললিতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সারা দিনের উত্কণ্ঠা ও আগ্রহেরও অবসান হল। মঙ্গলবার তাঁর জামিনের আবেদন সংক্রান্ত শুনানি ছিল ওই আদালতে। আদালত চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ার কৌঁসুলি রাম জেঠমালানি জামিন সংক্রান্ত শুনানির জন্য বিচারকের কাছে আর্জি জানান। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেন বিচারক। দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত আদালত স্থগিত করে দেওয়া হয়। বিকেলের দিকে ফের মামলার শুনানি শুরু হলে আম্মার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি। ফলে আম্মার ঠিকানা সেই পারাপান্না জেল!
আম্মার জামিনের আবেদন গ্রাহ্য হবে কি না এ দিন সকাল থেকে সেই জল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছিল বেঙ্গালুরু জুড়ে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সকাল থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেল। জেলের কাছাকাছি যাতে কোনও রকম উত্তেজনা তৈরি না হয় সেই ব্যবস্থাও করে প্রশাসন। পারপান্না জেল ও কর্নাটক হাইকোর্টের এক কিলোমিটার চৌহদ্দির মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলায় অভিযুক্ত হন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত সে দিন তাঁর চার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশের পাশাপাশি একশো কোটি টাকা জরিমানা করে। গ্রেফতারের পর থেকেই আম্মার ঠিকানা হয় বেঙ্গালুরুর পারাপান্না জেল। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর সঞ্চিত সম্পত্তি বৈধ উপায়েই অর্জন করা। সেখানে লুকোচুরির কোনও প্রশ্ন নেই বলে সেখানে দাবি করেন জয়ললিতা। আম্মার জামিন ও শাস্তি রদের জন্য দু’টি পিটিশন দাখিল করেন তাঁর আইনজীবীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতের অবসরকালীন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দশেরা উপলক্ষে আদালতে ছুটি থাকার কারণে সেই শুনানির উপর ৬ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। জেঠমালানি ফের ১ অক্টোবর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তার বিরোধিতা করেন সরকারের বিশেষ আইনজীবী ভবানী সিংহ।
তাঁদের প্রিয় ‘আম্মা’ অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই গোটা তামিলনাড়ুতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের ঝড় বয়ে যায়। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জয়ললিতার সমর্থকরা অনশনে বসেন।