গরুবাথানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
কেন্দ্রে সরকার গড়তে তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বুধবার উত্তরবঙ্গের গরুবাথানের একটি কর্মিসভায় গিয়ে এমন দাবিই করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তাঁর দলের সমর্থন ছাড়া কোনও দলই কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারবে না বলেও এ দিন মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, “দিল্লিতে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল এক নম্বর দল হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা এ বার দিল্লি দখল করবই।”
বাংলাকে কোনও ভাবেই ভাগ করা যাবে না। তৃণমূলের এই নীতি ফের মনে করিয়ে দিয়ে মমতা এ দিন বলেন, “আমরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু, কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতেই পাহাড়কে কেন্দ্র করে বিভাজনের খেলা খেলছেন। এমন একটা ভাব, যেন তাঁরা রাজা হয়ে যাবেন।” নাম না-করে এ দিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে একহাত নিয়েছেন তিনি। উন্নয়নের রাস্তায় না হেঁটে রাজ্য ভাগের জন্যই তারা বেশি উৎসাহী বলেও মন্তব্য করেন মমতা। তিনি বলেন, “ওঁরা কিছু দিন পর পরই দিল্লি যান। কিন্তু ওঁদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, ওঁরা কত বার কালিম্পং বা কার্সিয়াং যান। ওঁদের থেকে আমি বেশি বার ওই সব জায়গায় গিয়েছি।” মোর্চার ঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে মমতা এ দিন হুমকি দিয়েছেন, “আমার এখানে আসাটা অনেকে পছন্দ করেন না। কিন্তু আমি বার বার এখানে আসব।”
দার্জিলিং কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়ার হয়ে প্রচার করতেই মমতার গরুবাথানে আসা। পাহাড়ের বিজেপি প্রার্থী এস এস অহলুওয়ালিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে আসা প্রার্থী পাহাড়কে কোনও রকম গুরুত্ব না দিয়েই দিল্লি ফিরে যাবেন।” এমন মানুষদের দিল্লিতেই থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এ রাজ্যে সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেস যে কিছুই করতে পারবে না সে কথাও এ দিনের কর্মিসভায় বলেন মমতা।