বাম কর্মী-সমথর্কেরা আক্রান্ত হওয়ার সময় রাস্তায় নেমে লড়াইয়ের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাম নেতাদের নবান্ন-বৈঠকের প্রতিবাদে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে দীর্ঘ কালের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন নাট্যকার চন্দন সেন। তিনি ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের সদস্য। বাম নেতৃত্বের বর্তমান মনোভাবে ‘ব্যথিত’ চন্দনবাবু বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদারের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন। মঞ্জুবাবুকে তিনি জানিয়েছেন, যে পরিস্থিতিতে বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তা এমন কূটনীতির পক্ষে উপযুক্ত সময় ছিল না। লোকসভা ভোটের আগে বা ভোটের সময় শাসক দলের সন্ত্রাস যখন তুঙ্গে উঠেছিল, সে সময় দেখা করতে গেলে তার এক রকম অর্থ হত। কিন্তু, ভোটে বিপর্যস্ত হওয়ার পরে শাসক দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর সঙ্গে বাম নেতৃত্বের এমন বৈঠক বহু বাম কর্মী-সমর্থকের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।
চন্দনবাবু এ দিন বলেন, “দলের কোনও পদে থাকলে শৃঙ্খলাজনিত কারণে খুব বেশি প্রতিবাদ করতে পারতাম না। কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে দিলেও বামপন্থীই থাকব।” মঞ্জুবাবু অবশ্য বলেছেন “চন্দনবাবুকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান হয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক ডেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”