প্রয়াত হলেন ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরী। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ (ভারতীয় সময় রাত ১১টা) অক্সফোর্ডের বাড়িতে, দেড় বছরের অসুস্থতাশেষে মারা গেলেন তিনি। সে দিনই শেষ হয়েছিল অ্যান্টিবায়োটিকের এক প্রস্থ কোর্স, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। রেখে গিয়েছেন স্ত্রী, কন্যা ও নাতনিকে। সন-তারিখ আর দলিল-দস্তাবেজের নীরস ইতিহাস নয়, পরিণত বয়সে ‘বাঙালনামা’ কিংবা ‘রোমন্থন অথবা ভীমরতিপ্রাপ্তের পরচর্চা’র মতো সরস আত্মজীবনী লিখে বাঙালি পাঠকের কাছে উজ্জ্বল উদ্ধার হয়ে আছেন তিনি। বরিশালের ক্ষয়িষ্ণু জমিদারবাড়ি, তলিয়ে যাওয়ার আগে আকুতি, সেখানকার কথ্য রসিকতা...সব মিলিয়ে সেই দু’টি বই-ই স্মৃতিকথার গণ্ডি ছাপিয়ে হয়ে উঠেছিল সামাজিক ইতিহাস। শেষ বাংলা বই ‘প্রবন্ধসংগ্রহ’তেও আকবরের আমলে শাক রান্না থেকে সুকুমার সেন হরেক বিষয়ের ভুরিভোজ।