কসবায় সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

দুষ্কৃতী হামলার জেরে আতঙ্কিত হয়ে শৌচাগারে লুকোলেন এক কাউন্সিলর! শনিবার এমনটাই দেখল খাস কলকাতা। ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ! বাড়ি ভাঙচুর-ইট দিয়ে হামলা থেকে শুরু করে খুনের হুমকি— এমনটাই অভিযোগ উঠল তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের জহুরাবাজার এলাকার। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর অন্নপূর্ণা দাসের অভিযোগ, শনিবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ির দরজায় জোরে ধাক্কা দিতে থাকে দুষ্কৃতীরা। অন্নপূর্ণাদেবীর দাবি, বাড়ির লোকেদের পরামর্শে দরজা খোলেননি তিনি। এ বার দরজা ভাঙতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৫ ১৩:২৪
Share:

কসবায় সিপিএম কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলায় ভেঙেছে দরজা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

দুষ্কৃতী হামলার জেরে আতঙ্কিত হয়ে শৌচাগারে লুকোলেন এক কাউন্সিলর! শনিবার এমনটাই দেখল খাস কলকাতা।

Advertisement

ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ! বাড়ি ভাঙচুর-ইট দিয়ে হামলা থেকে শুরু করে খুনের হুমকি— এমনটাই অভিযোগ উঠল তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা কসবার ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের জহুরাবাজার এলাকার। ওই ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর অন্নপূর্ণা দাসের অভিযোগ, শনিবার রাত সওয়া ১টা নাগাদ তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ির দরজায় জোরে ধাক্কা দিতে থাকে দুষ্কৃতীরা। অন্নপূর্ণাদেবীর দাবি, বাড়ির লোকেদের পরামর্শে দরজা খোলেননি তিনি। এ বার দরজা ভাঙতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি, কাউন্সিলর পদ থেকে তাঁর ইস্তফার দাবিতে চেঁচাতে থাকে তারা, বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। শুধু তাই নয়, দরজার বাইরে থেকে তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভয়ে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন তিনি। এ ভাবেই কাটে মিনিট কুড়ি। আতঙ্কিত অন্নপূর্ণাদেবী শৌচাগার থেকেই ফোন করেন কসবা থানায়। ঘটনার কথা জানান স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব-সহ ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌরপ্রতিনিধি দীপঙ্কর দে-কেও। অন্নপূর্ণাদেবীর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

রবিবার সকালে অন্নপূর্ণাদেবী বলেন, “রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ কয়েক জন ছেলে আমার বাড়ির দরজায় বার বার ধাক্কা দিতে থাকে। বলে, ‘একে শেষ করতে হবে।’ আমাকে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে বলে।” তিনি আরও বলেন, “ওই ছেলেরা আমাকে কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলে চেঁচাতে থাকে।” অন্নপূর্ণাদেবীর দাবি, ৯১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সুজাতা গুপ্তকে প্রার্থী করে উপনির্বাচনের কথা বলে চেঁচাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এমনকী, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর।

Advertisement

কাউন্সিরলরের ফোন পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ আসার খবরে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অন্নপূর্ণাদেবীর দাবি, পুলিশ এসে প্রমাণ লোপাটের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ইট-পাটকেল সরিয়ে দেয়। এমনকী, সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতেও বারণ করে তারা। বাড়ির সামনে প্রহরা বসানোর আশ্বাস দিয়ে পুলিশ তখনকার মতো চলে যায়। এ দিন দুপুর পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অন্নপূর্ণাদেবী বলেন, “খুব আতঙ্কে রয়েছি। এই ঘটনার পর আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।”

গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর। এ দিন সকালে অন্নপূর্ণাদেবীর বাড়িতে যান সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক তথা ৯১ নম্বরের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপঙ্কর দে-সহ দলের একাধিক নেতা-কর্মী। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল বের করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব।

ঘটনার কথা জানতে পেরে সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “দখলের রাজনীতি করছে তৃণমূল। মানুষের উপর আস্থা রাখতে না পেরেই এমন কাজ করেছে শাসক দল।” তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত যে দলেরই হোক না কেন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement