বলিউড দুনিয়ায় তিনি ‘ভাই’ নামেই পরিচিত । কিন্তু সেই নামের সঙ্গে ভয়ের থেকেও ভালবাসা মিশে আছে অনেক গুণ বেশি। ব্যক্তিগত জীবনে সুন্দরীর আনাগোনা বা কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা, শিরোনামে সলমন খানের জায়গা পাকা। এ বার রিয়েল লাইফে এক কাশ্মীরি যুবকের পরিত্রাতার ভূমিকায় সল্লু মি়ঞা।
গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর নতুন ছবি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর শ্যুটিং নিয়ে কাশ্মীরে ব্যস্ত ছিলেন সলমন খান । সেখানেই তাঁর কাছে সাহায্য চাইতে আসেন কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার জাইনা বেগম। ৭৫ বছরের বৃদ্ধার একমাত্র মেয়ে দিলশাদা জান স্বামীর মৃত্যুর পর চার ছেলেমেয়ে নিয়ে মায়ের কাছে চলে আসেন। দিলশাদার বড় ছেলে গওহর আহমেদের বয়স সবে ১৮। এর পর তিন মেয়ে রুকাইয়া জান, খালিদা জান ও খুশবু জান যথাক্রমে ১৫, ১২ ও ১০ বছরের। এত দিন ভিক্ষা করেই কোনও রকমে তাদের সংসার চলছিল। শ্যুটিং চলাকালীন জাইনা বেগম সলমন খানের সঙ্গে দেখা করে তাঁর অভাবের কথা জানান। বৃদ্ধার আর্জি শুনে তখনই তাঁর বড় নাতি গওহরকে কাজে নিয়ে নেন সলমন। কাশ্মীরে শ্যুটিং শেষ হয়ে গেলে গওহরকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ‘হম দিল দে চুকে সনম’-এর সমীর!
১৯৮৯-এ ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’র ‘প্রেম’-এর পর্দায় আত্মপ্রকাশ। রিল লাইফে সাফল্যের পাশাপাশি সলমন খান বার বার জড়িয়ে পড়েছেন নানা অবাঞ্ছিত ঘটনায়। ২০০২ সালে মুম্বইয়ে তাঁর গাড়ি চাপা পড়ে ফুটপাথবাসীর মৃত্যু, ২০০৬ সালে রাজস্থানে শ্যুটিং চলাকালীন বিপন্ন শ্রেণির কৃষ্ণসার হত্যা বা ২৬/১১-র মুম্বই হামলা প্রসঙ্গে তাঁর উক্তির জন্য বার বার সমস্যায় পড়েছেন তিনি। এত কিছু সত্ত্বেও তাঁর ‘ক্যারিশমা’ মন জয় করেছে সিনেপ্রেমীদের।
বৃদ্ধা জাইনা বেগমের কাছে তিনি ‘পরিত্রাতা’। আর গওহরের কথায় ‘উপর খুদা হ্যায়, নীচে সলমন খান’।