সূর্য-পত্নীর সংস্থায় তল্লাশি গভীর রাতে

আগেও দফায় দফায় তল্লাশি হয়েছে। এ বার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের স্ত্রী ঊষা মিশ্রের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় গভীর রাতে হানা দিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার দল। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের খাকুড়দায় ঊষাদেবীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ভগবতীদেবী নারী কল্যাণ সমিতি’র কার্যালয়ে তল্লাশি চালান দুর্নীতি দমন শাখার দুই আধিকারিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলদা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৫ ২০:৪২
Share:

আগেও দফায় দফায় তল্লাশি হয়েছে। এ বার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের স্ত্রী ঊষা মিশ্রের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় গভীর রাতে হানা দিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার দল। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের খাকুড়দায় ঊষাদেবীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ভগবতীদেবী নারী কল্যাণ সমিতি’র কার্যালয়ে তল্লাশি চালান দুর্নীতি দমন শাখার দুই আধিকারিক। রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকেই কাউকে না জানিয়ে, কোনও কাগজপত্র না দেখিয়ে গভীর রাতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে ঊষাদেবীদের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতেই এই মর্মে বেলদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই সংস্থার আমন্ত্রিত সদস্য তথা সংস্থার অধীন পিটিটিআই কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ মিশ্র। সিদ্ধার্থবাবু সম্পর্কে সূর্যবাবুর খুড়তুতো ভাই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ নারায়ণগড়ের খাকুড়দায় ঊষাদেবীর সংস্থার কার্যালয়ে আসেন দুর্নীতি দমন শাখার দুই আধিকারিক। নৈশরক্ষীকে ডেকে দরজা খুলে দিতে বলেন তাঁরা। নৈশরক্ষী জয়দেব দাস বলেন, “আমি তালা খুলতে রাজি হইনি। সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধার্থ মিশ্রকে ফোন করি। কিন্তু উনি আসার আগেই ওঁরা আমাকে তালা খুলতে বাধ্য করেন।” সিদ্ধার্থবাবুর কাছেই বাড়ি। মিনিট দশেকের মধ্যে তিনি চলে আসেন। একই চত্বরে রয়েছে পিটিটিআই কলেজ এবং ঊষাদেবীর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তবে সিদ্ধার্থবাবু পৌঁছনোর আগেই সংস্থার অফিস ঘরে ঢুকে ফাইলপত্র নামিয়ে নেন আধিকারিকরা। পরে কলেজের টিচার্স রুমেও ঢোকেন তাঁরা। আলমারি খুলে কাগজপত্র দেখেন। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আমি বার বার বারণ করেছি। বলেছি, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তো সংস্থার বিরুদ্ধে, তা হলে কলেজ চত্বরে তল্লাশি কীসের! ওঁরা কিছুই শোনেননি। উল্টে বলেছেন, প্রয়োজনে রাতভর তল্লাশি হবে।”

ঊষাদেবীর বক্ত ব্য, “যে প্রক্রিয়ায় তদন্ত হচ্ছে তা আদৌ ঠিক নয়। এ ভাবে কিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে তদন্তে আসার মানেটা কী? গোটাটাই রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে করা হচ্ছে। তদন্তকারীরাও আমাদের বলেছেন, উপর মহলের নির্দেশেই তাঁরা এ সব করতে বাধ্য হচ্ছেন।”

Advertisement

শুক্রবার সকালে ফের খাকুড়দায় তদন্তে আসেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা। সিদ্ধার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিসেপশনে থাকা কম্পিউটার খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সন্ধ্যায় কলকাতা যাওয়ার আগে ওই কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা। তবে রাতের অন্ধকারে কেন তদন্তে আসা, কেনই বা কাগজপত্র ছাড়া তল্লাশি চালানো, সে সব প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি তদন্তকারীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তের ব্যাপারে তো আমি কিছু বলতে পারব না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement