খেলা শুরুর আগে। ছবি: উত্পল সরকার।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইডেনে রাজত্ব করে অষ্টম আইপিএল জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালে ধোনিরা হারল ৪১ রানে।
ফাইনালের শুরুটা ভালই হয়েছিল মুম্বইয়ের। রোহিত শর্মা, লেন্ডল সিমন্স, পোলার্ড, রায়ুডু— ভাল ব্যাট করলেন সবাই। মুম্বইকরদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন না নেহরা-মোহিত-অশ্বিনদের কেউই। ওভার প্রতি দশের উপর গড় রেখে চেন্নাইয়ের সামনে ২০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল মুম্বই।
শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভাল হয়নি রোহিতদের। প্রথম ওভারে ওঠে মাত্র এক রান। আর তার মধ্যেই ফ্যাফ দু’প্লেসির অসামান্য ফিল্ডিংয়ে আউট হন পার্থিব। পার্থিবের আউট হওয়ার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলেন রোহিত শর্মা। মোহিতের পরের ওভারে ওঠে ১৬ রান। এর পর থেকেই শুরু হয় রোহিত-সিমন্সের তাণ্ডব। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে ২৫ বলে অর্ধশতরান করেন মুম্বই অধিনায়ক। ৪৫ বলে ৬৮ করেন ক্যারিবিয়ান সিমন্স। পর পর দু’জন আউট হলেও ম্যাচের রাশ কখনওই ছাড়েনি মুম্বই। রোহিতদের দেখানো পথে ১৮ বলে ৩৬ করেন পোলার্ড। ২৪ বলে ৩৬ করে অপরাজিত থাকেন রায়ুডু।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কখনওই স্বস্তিতে ছিল না চেন্নাই। ‘বৃদ্ধ’ হাসি থেকে শুরু করে ধোনি, ব্রাভো, দু’প্লেসি— রান পেলেন না কেউই। ৪৮ বলে ৫৭ করে কিছুটা লড়াই করেছিলেন স্মিথ। তবে সেটা ওই ‘কিছুটা’ই। মালিঙ্গা, ম্যাকক্লেনাঘ্যান, হরভজনদের সামনে কোনও বাধাই দিতে পারেননি ধোনি-রায়নারা। ফলে লক্ষ্যের ৪১ রান আগেই থামতে হল সুপার কিঙ্গসকে।
একটা দল আইপিএলে সবচেয়ে ধারাবাহিক। আটটা লিগের ছ’বারের ফাইনালিস্ট। অন্য দল খেলছে তার তৃতীয় ফাইনাল। আর দু’টি দলের ডাগ আউটেই নক্ষত্রের ছড়াছড়ি। এই দুই দলের লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা প্রমাণ হয়েছিল গ্রুপ লিগের ম্যাচেই। যেখানে দুই দলই জিতেছিল একটি করে ম্যাচ। তাই লিগের তৃতীয় ম্যাচ তথা ফাইনাল জিতে ট্রফি নিতে ফেভারিট ছিল দুই দলই।