জমি বিলকে হাতিয়ার করে পুরভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতে ফের এক বার পথে নামতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার, ৮ এপ্রিল বিকালে তাঁর নেতৃত্বে ধিক্কার মিছিল করবে রাজ্যের শাসক দল। মৌলালি থেকে ধর্মতলার গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত ওই মিছিলে সামিল হবেন কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। ওই একই সময়ে রাজ্যের সব জেলার ব্লকে ব্লকে হবে বিক্ষোভ কর্মসূচি। উত্তরবঙ্গ সফররত মুখ্যমন্ত্রী আপাতত রয়েছেন মংপংয়ে। সেখান থেকে ফোনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সিকে বুধবারের ওই কর্মসূচি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি।
মোদী সরকারের জমি বিল নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই সোচ্চার তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি। সংসদের দুই কক্ষেই এই বিলের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরেও চলেছে অবস্থান, ধর্না। জমি বিলের বিরোধিতা করেছে এনডিএ-র বেশ কিছু শরিক দলও। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে বিলে কিছু সংশোধন করে কেন্দ্র। কিন্তু চিড়ে ভেজেনি তাতেও। শেষে অর্ডিন্যান্স জারি করে বিল পাশ করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
জমি বিল নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানালেও এর আগে অবশ্য কোনও দিনই পথে নামেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কী এমন হল যে হঠাত্ করে পথে নামতে তত্পর হলেন তিনি?
মনে করা হচ্ছে, পুরভোটের আগে দলকে চাঙ্গা করতেই আন্দোলনের পুরনো পথে হাঁটতে চাইছেন তিনি। আগামী ১৮ এপ্রিল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। তার পরেই রয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভার ভোট। সেই ভোটের দিন দশেক আগে নিজেই পথে নেমে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে চাইছেন মমতা।
তবে পুরভোটের ঠিক আগে তৃণমূল নেত্রীর এই কেন্দ্র বিরোধিতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তাদের দাবি, কৃষক স্বার্থ নয়, ভোটের স্বার্থেই পথে নামছেন মমতা। কংগ্রেস আবার তৃণমূল নেত্রীর এই বিজেপি বিরোধিতার পিছনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের দিকেও ইঙ্গিত করেছে।