আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুস্তাফা কামাল। বুধবার ঢাকায় সহকর্মীদের পরিচালন নীতিকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এ দিন ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে কামাল বলেন, “আইনবিরুদ্ধ ও অনৈতিক কাজ যাঁরা করেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।” তাঁর আরও সংযোজন, “এ ধরনের মানুষদের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাই উচিত্। নইলে ক্রিকেট শেষ হয়ে যাবে। খেলাটাকে ক্রমশ দূষিত করে তুলছেন এঁরা। আইসিসি-কে অনুরোধ করছি, তারা যেন পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখে। তা হলেই তারা বুঝতে পারবে কেন আমি পদত্যাগ করলাম।”
স্পষ্ট ভাবে কারও নাম না নিলেও কামালের মন্তব্য থেকে বিশ্বকাপ দেওয়া নিয়ে বিতর্কের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। যার শুরুটা হয়েছিল মেলবোর্নে ভারত-বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে কামালের বিতর্কিত মন্তব্যে। বিশ্বকাপজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে শনিবার রাতে আইসিসি-র জনাকয়েক সদস্যকে নিয়ে বেসরকারি বৈঠক করেন আইসিসি চেয়ারম্যান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। সেখানেই তিনি কামালকে বলে দেন যে, আইসিসি-র কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছেন কামাল, ফলে ট্রফি দেবেন শ্রীনিবাসনই। অথচ আইসিসি-র প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই সম্মান প্রাপ্য ছিল কামালেরই। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। পুরস্কার বিতরণের দিনও আইসিসি প্রেসিডেন্টকে দেখা গিয়েছিল সহকর্মীদের থেকে দূরেই।
এ দিন কামাল বলেন, “আসলে আইসিসি সংবিধান মেনে কাজ করার উপায় তো আমার নেই! আর আইসিসি সংবিধান লঙ্ঘন করেও আমি কাজ করতে পারব না। সেই জন্যই ইস্তফা দিলাম।”