নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন (আবাসিক)। ইনসেটে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম বিল্বশিব বসুমল্লিক।
মাধ্যমিকে সেরা দশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন মাত্র এক জন। উচ্চ মাধ্যমিকে সেই ‘দুঃখ’ একেবারে সুদে-আসলে মিটিয়ে নিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। শুধুমাত্র প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয়ই নয়, সেরা দশের সিংহভাগই রয়েছে এই স্কুলের ছাত্রদের দখলে।
৪৯৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের বিল্বশিব বসুমল্লিক। ৪৯১ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় এবং ৪৮৯ পেয়ে তৃতীয় শেখ মনিরুল ও মৃন্ময় রায়ও এই স্কুলের ছাত্র। মেয়েদের মধ্যে প্রথম আরামবাগ গার্লস হাই স্কুলের রিখিয়া ভুক্তা।
এ বার পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৮ দিনের মাথায় উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে ফল প্রকাশ করলেন সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি জানান, এ বছরে ৬ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬০৫জন প়ড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছিলেন। গত বছরের তুলনায় পাশের হার এ বছরে অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৪ সালে পাশের হার ছিল ৭৮.৪২%। এ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৮২.৩৮%।
সাফল্যের উড়ান। জেলায় জেলায়।
এর মধ্যে ছাত্রদের পাশের হার ৮২.৯৬% এবং ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৮১.৮০%। কোনও পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফল অসম্পূর্ণ নেই। এমনকী গত বছরের তুলনায় এ বছরে প্রায় ১০% বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছেন বলে সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই পাশের হার গত বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে। বেড়েছে তফসিলি পরীক্ষার্থীদের পাশের হারও। তবে ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন চূড়ান্ত না হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনও ঘোষণা করা হল না এ দিন।
পাশের হারের নিরিখে প্রথমে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় পশ্চিম মেদিনীপুর এবং এর পর রয়েছে হুগলি, হাওড়া ও কলকাতা। তবে মেয়েদের পাশের হার অনুযায়ী জেলাগুলির মধ্যে এগিয়ে রয়েছে কলকাতা। এর পরে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান, দার্জিলিং, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়া।
সংসদ সভাপতি জানান, ৬০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৬০ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া—
৯০-১০০ % নম্বর পেয়েছেন ২৭১০ জন। যা ২০১৪ সালে ছিল শুধুমাত্র ৭১০ জন।
৮০-৮৯% নম্বর পেয়েছেন ৩১,৫২১ জন। ২০১৪ সালে সংখ্যাটা ছিল ১২,০০৩।
৭০-৭৯% নম্বর পেয়েছেন ৮০,৩২৬জন। ২০১৪ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩৯,৪০৩।
৬০-৬৯% নম্বর পেয়েছেন ১,২০,৭০৩ জন। ২০১৪ সালে সংখ্যাটা ছিল ৬৪,২৫২।
৫০-৫৯% নম্বর পেয়েছেন ১,৬৬,৮৫০ জন। ২০১৪ সালে সংখ্যাটা ছিল ৯৪,৮৪৮।
৪০-৪৯% নম্বর পেয়েছেন ১,৪০,০১৫ জন। ২০১৪ সালে সংখ্যাটা ছিল ১,২৪,৬৯৭।
পি-গ্রেডে পাশ করেছেন মাত্র ৩,৭১৯ জন। যা ২০১৪ সালে ছিল ১,৭৩,২৪৩ জন।