কুলগামের মীরবাজারে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে সেনাকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।
পাহাড় এবং সমতলের টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায়। গত তিন দিন ধরে দক্ষিণ কাশ্মীর জুড়ে চলছে প্রবল বৃষ্টি। একই সঙ্গে উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়াতেও বৃষ্টি চলতে থাকে। প্রবল বৃষ্টির ফলে নদীগুলি ফুঁসতে শুরু করেছে। জলবন্দি হয়ে রয়েছেন দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ এবং কুলগাম-সহ অন্তত ২৩টি গ্রামের বাসিন্দা। খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির। বিপদসীমার চার ফুট উপর দিয়ে বইছে ঝিলাম নদীর জলস্তর। বন্যার আশঙ্কায় লাল সর্তকতা জারি হয়েছে শ্রীনগরেও।
শ্রীনগরের ডেপুটি কমিশনার ফারুখ আহমেদ শাহ জানিয়েছেন, “যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে শ্রীনগর শহরটিতে বন্যা সতকর্তা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ-সহ সকল বিপর্যয় বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।” ঝিলাম নদীর তীরে অবস্থিত রাম মুন্সি বাগ শহরটিও প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বদগাম জেলার আবোরায় দুই বাসিন্দা। শ্রীনগরের দুধ গঙ্গার ঝর্ণায়ও প্লাবনে ওইদিন রাতে বোন এ্যন্ড জয়েন্ট হাসপাতালের নীচের তলা জলে ডুবে যাওয়ায় সেখান থেকে রোগীদের সরিয়ে উপরের তলাগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবল বর্ষণের জেরে শ্রীনগরের স্কুল এবং কলেজগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শেষ চব্বিশ ঘন্টায় দক্ষিণ কাশ্মীরে ১৫৬.৭ মিলিমিটার, শ্রীনগরে ৫২ মিলিমিটার এবং কুপওয়াড়ায় ১১৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে তারা।