সংগৃহীত চিত্র।
সিমেস্টার পদ্ধতিতেও মোবাইল ব্যবহারে কঠোর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে বাতিল করা হবে দু’টি সিমেস্টার।
শেষ হয়েছে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা। খাতা দেখার প্রক্রিয়াও প্রায় শেষের মুখে। এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হলেও, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের অপরাধে ৪২ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর এ বছরের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর সিমেস্টার পদ্ধতিতেও মোবাইল নিয়ে কড়া পদক্ষেপের ব্যবস্থা করতে চলেছে শিক্ষা সংসদ। কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করলে তার দু’টি সিমেস্টার বাতিল ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর যদি কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে, তা হলে দু’টি সিমেস্টার বাতিল ঘোষণা করা হবে।
পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অবস্থা গ্রহণ করেছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এর পরেওে পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতর থেকে প্রশ্ন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় শিক্ষা সংসদকে। তাই সিমেস্টার পদ্ধতিতে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে চাইছে শিক্ষা সংসদ।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “পরীক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতার স্বার্থে ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংসদের এই সিদ্ধান্ত জরুরি। কিন্ত মনে রাখতে হবে বজ্র আঁটুনির মধ্যে কোথাও ফোস্কা গেরো থেকে যাচ্ছে। তা না হলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকছে কী করে? তাই প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ডিটেক্টর রাখা জরুরি।”
প্রসঙ্গত,সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রেও‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’ব্যবহার হয়েছিল।নিরাপত্তাজনিত কারণে এ বার সেই ব্যবস্থা চালু করেছে উচ্চ শিক্ষা সংসদ। শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর,মূলত প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে বা প্রশ্ন ফাঁস হলে যাতে অপরাধীদের দ্রুত ধরা যায়,তা নিশ্চিত করতেই‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।আর তার ফলেই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে সংসদের তরফে জানান হয়েছে।