পরামর্শ শিক্ষিকার। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হওয়ার কারণে, স্বাভাবিক ভাবেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই ভয়ের মধ্যে থাকে। তার উপর আবার ইতিহাস! অনেকেই এই বিষয়টিকে নিয়ে অঙ্কের মতোই ভয় পায়। এর আগে ইতিহাস বিষয়ে কোন দিকগুলি ভাল ভাবে নজর দেওয়া প্রয়োজন, প্রশ্নপত্রের কোন প্রশ্নে কত নম্বর থাকে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। এই প্রতিবেদনে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর কী কী করণীয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিচ্ছেন গড়িয়া হরিমতী দেবী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষিকা প্রীতিলতা ঘোষ পাল।
পরীক্ষার ১৫ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র হাতে চলে আসে। প্রশ্নপত্র দেখার সঙ্গেই মাথায় উত্তরপত্রের একটি স্কেচ করে নেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন প্রশ্নের উত্তর লেখা যাবে, কী ভাবে লেখা যাবে, সেই সব বিষয়গুলি ভাল ভাবে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। দরকার পড়লে প্রশ্নপত্রে একটি পেনসিল দিয়ে ছোট ছোট করে দাগ কেটে নিলেও হয়।
হাতের লেখা পরিচ্ছন্ন, সুন্দর এবং স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এতে কোনও নম্বর নেই ঠিকই, কিন্তু এটাই পরীক্ষকের মন জয় করার প্রাথমিক উপায়।
বিভাগ ক-এ কোনও অতিরিক্ত প্রশ্ন থাকে না। ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ২০টিই লিখতে হয়। বিভাগ খ এবং গ-তে অতিরিক্ত প্রশ্ন যেমন থাকে, তেমনই অতিরিক্ত উত্তর লিখে আসাও ভাল। বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে সেই প্রশ্নই লেখা ভাল, যেখানে নম্বর বিভাজন থাকবে। ৮ নম্বরের একটি প্রশ্নের পরিবর্তে যদি, ৫+৩, ৩+৫ নম্বরের বিভাজন থাকে কোনও প্রশ্ন তা হলে বিভাজন করা প্রশ্নের উত্তর লিখে আসাই ভাল।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার পর নীচে কিছুটা জায়গা ছেড়ে রাখা ভাল। একই বিভাগের প্রশ্ন একই জায়গায় পর পর লিখলে ভাল। প্রয়োজনে জায়গা ছেড়ে রেখে পরে লিখলেও হবে।
বড় প্রশ্ন সব সময় পয়েন্ট, আন্ডারলাইন, প্যারাগ্রাফ করে লিখলে ভাল। বড় প্রশ্নের উত্তর মানেই মাপে বড় হবে তেমনটা নয়, হওয়া প্রয়োজন তথ্যনির্ভর। প্রয়োজনে দু’রকম কালি ব্যবহার করা যেতে পারে।
সব শেষে মাথায় রাখা প্রয়োজন, পরীক্ষক মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা কতটা বুঝে উত্তর লিখেছে, সেই বিষয়েই নজর দেন।