আইআইটি খড়গপুর। সংগৃহীত ছবি।
গত ৫ জুন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশ করা চলতি বছরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (এনআইআরএফ) তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রথম দশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান দখল করে নিয়েছিল রাজ্যের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), খড়গপুর। আবারও এই প্রতিষ্ঠান খবরের শিরোনামে। সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশের বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সামার ইন্টার্নশিপ’-এর জন্য প্রতিষ্ঠানের ১০ জন মেধাবী পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেওয়া হবে।
প্রদত্ত এই স্কলারশিপের মাধ্যমে পড়ুয়ারা আমেরিকা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, কানাডা এবং জার্মানির বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ (গবেষণা) ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন। স্কলারশিপটির ব্যবস্থা করবেন আইআইটি খড়গপুরের প্রাক্তনী এবং নিউ ইয়র্ক নিবাসী গবেষক মুকুন্দ পদ্মনাভন।
মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের একজন মুখপাত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, মুকুন্দ পদ্মনাভন আইআইটি খড়গপুর থেকে ইলেক্ট্রনিক্স এবং ইলেক্ট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিএস ডিগ্রির পর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর কাজ করেন আইবিএম নামক কর্পোরেট সংস্থার টিজে ওয়াটসন রিসার্চ ল্যাবেও। গবেষণার এই স্কলারশিপ বা বৃত্তির জন্য আমেরিকার আইআইটি খড়গপুর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একযোগে মুকুন্দের অনুদান সংস্থা গুরু ক্রুপা ফাউন্ডেশন অর্থ জোগান দিয়েছে।
‘সামার ইন্টার্নশিপ’-এর জন্য প্রদত্ত এই স্কলারশিপের জন্য ১০ জন মেধাবীকে নির্বাচন করেছেন প্রতিষ্ঠানের একটি বাছাই কমিটি। জানানো হয়েছে প্রত্যেক পড়ুয়ার মোট স্কলারশিপের পরিমাণ হবে ৪৫,০০০ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে রেনেসাঁ টেকনোলজিতে গবেষণারত মুকুন্দ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এই ধরণের ‘সামার ইন্টার্নশিপ’ বা গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ আইআইটি খড়গপুরে পড়াশোনার গুরুত্ব আরও বাড়ায়। প্রতিষ্ঠানের একজন প্রাক্তনী হিসাবে বর্তমান পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের জন্য অর্থ জোগান দিতে পেরে তিনি গর্বিত। তাঁর আশা, এই ইন্টার্নশিপ পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নতিতে সাহায্য করবে।
আইআইটি খড়গপুরের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এবং এই স্কলারশিপের একজন অন্যতম প্রাপক মানব নীতিন কাপারনিস এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ের প্রতি বরাবরই আগ্রহ ছিল। এখন প্যারিসের ইনরিয়া প্রতিষ্ঠানে ‘চ্যাট জিপিটি’-কে উন্নত করার কাজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়ে তাই ভীষণ খুশি তিনি।
প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা প্রফেসর ভিকে তিওয়ারি জানিয়েছেন, এই স্কলারশিপ মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করে দিল। এর সাহায্যে পড়ুয়ারা বিশ্বব্যাপী শিল্পক্ষেত্রে গবেষণার কাজ করার এবং নিজস্ব চিন্তাভাবনাকে বাস্তবায়নের প্রকৃত বাস্তব চিত্রটা বুঝতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এই ১০ জন ছাড়াও এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিজিক্স, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরও ১৫ জন পড়ুয়া চলতি বছরের আইআইটি খড়গপুর ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ (যা আমেরিকার আইআইটি খড়গপুর ফাউন্ডেশনের অর্থপুষ্ট) পেয়েছেন।