প্রতীকী চিত্র।
দু’মাস আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, এ বার থেকে বছরে দু’বার দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও একটি নতুন সংযোজনের কথা জানিয়েছেন। রোববার সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরতদের বছরে এক বারই এই পরীক্ষা দিতে হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পড়ুয়াদের উপর পরীক্ষা সংক্রান্ত চাপ কমানোই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জাতীয় শিক্ষানীতির নতুন ‘কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক’ বা পাঠক্রম কাঠামো অনুযায়ী গত অগস্ট মাসেই বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা আয়োজনের কথা ঘোষণা করে। পড়ুয়ারা যাতে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ভাল ফল করতে পারে এবং বোর্ড পরীক্ষা যাতে তাদের কাছে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।
সংবাদসংস্থাকে প্রধান জানিয়েছেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মতোই বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। পড়ুয়ারা দু’বারই এই পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং দু’টি পরীক্ষার মধ্যে যেটিতে প্রাপ্ত নম্বর বেশি থাকবে, সেটিকেই ধরা হবে। তবে দু’টির মধ্যে শুধু মাত্র একটি বোর্ড পরীক্ষায় বসার সুযোগও থাকছে পড়ুয়াদের। অর্থাৎ, পড়ুয়াদের বছরে দু’বার বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে ‘ডামি স্কুল’ চালুর বিষয়টি ভেবে দেখার সময় এসেছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ‘ডামি স্কুল’-এর মূল ভাবনাই হল যে, স্কুলে রোজ হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু মাত্র, পরীক্ষা দিতে স্কুল গেলেই চলে।
এর আগেও বোর্ড পরীক্ষায় আমূল বদল আনার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। ২০০৯ সালে দশম শ্রেণিতে দ্য কন্টিনিউয়াস অ্যান্ড কম্প্রিহেন্সিভ ইভ্যালুয়েশন (সিসিই) পদ্ধতি চালু করা হয়। যার দ্বারা ২০১৭ সালে বৎসরান্তে বোর্ড পরীক্ষার পুরনো ব্যবস্থাতে পুনরায় পরিবর্তন আনা হয়। কোভিড অতিমারির সময়েও আবার এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাকে দু’টি টার্মে ভাগ করা হয়, যা এই বছর থেকে আবার পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে গিয়েছে।