ফাজিলের নবম এবং দশম স্থান ভাঙড়ের দুই পড়ুয়ার। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার সকালে প্রকাশিত হল রাজ্যের হাই মাদ্রাসা, আলিম এবং ফাজিলের ফলাফল। কোনও রাজনৈতিক উত্তেজনার খবর নয়, দাঙ্গা-বিদ্রোহের খবরের জন্যেও নয়, ফাজিলের রেজাল্টের কারণে এ বার খবরের শিরোনামে ভাঙড়। জানা ঙ্গিয়েছে, এ বার ফাজিলের মেধাতালিকায় রয়েছে ভাঙড়ের দুই পড়ুয়া। একই স্কুলের দুই পড়ুয়া রয়েছে নবম এবং দশম স্থানে। তাদের সাফল্যে আনন্দে ভাসছেন পরিজন থেকে এলাকাবাসী।
ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার পড়ুয়া এই দুই ছাত্র। নাম শেখ সাবিরুল ইসলাম এবং মিজানুর রহমান মোল্লা। নবম এবং দশম স্থানাধিকারী দুই ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বরের ফারাকও এক নম্বরের। ৫৩৮ এবং ৫৩৭। শেখ সাবিরুল ইসলাম ভাঙড় ২ ব্লকের টোনা মাছিভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। পাঁচ ভাইবোনের পরিবারে সাবিরুল হল মেজ সন্তান। চরম দারিদ্রের সংসারেও সাবিরুলের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমেনি একটুও। পরীক্ষায় ভাল ফলের জন্য সে ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রোজ ৫-৬ ঘণ্টা লাগাতার প্রস্তুতি চালিয়ে গেছে সে পরীক্ষার জন্য। ভবিষ্যতে ইংরেজি নিয়ে পড়ে শিক্ষকতা করতে চায় সাবিরুল । ছেলের এই অপ্রত্যাশিত সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা সাবিরুলের বাবা সিরাজুল ইসলাম।
একই গল্প ভাঙড় ২ ব্লকের হাতিশালা এলাকার পড়ুয়া দশম স্থানাধিকারী মিজানুর রহমান মোল্লার। রোজ ৫-৬ ঘন্টা পড়াশোনার রুটিন ছিল তারও। ছোটখাটো হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বাবার স্বপ্নপূরণে দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে সে। শেষমেশ সাফল্য এসেছে। ভবিষ্যতে আরবি ভাষা নিয়ে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছে মিজানুরের।