প্রতীকী চিত্র।
বছরের গোড়াতেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। তবে পরীক্ষা যাতে স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে দুশ্চিন্তা না বাড়িয়ে তোলে, সেই কারণে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে চলতি সপ্তাহে ‘স্টুডেন্টস উইক’ পালনের মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি, তাদের সৃজনশীল মনোভাবকে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এমনই একটি কর্মসূচি পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে আয়োজন করা হয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহের ৫ এবং ৬ জানুয়ারি, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটি অনলাইন ক্যুইজের আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রথম পর্বে মোট চারটি রাউন্ডে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। প্রতিটি রাউন্ডে যে পড়ুয়া অংশগ্রহণ করবে এবং সঠিক উত্তর দেবে, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
রাজ্যের সমস্ত স্কুলের পড়ুয়ারা যাতে ক্যুইজে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই উদ্দেশেই অনলাইনে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী পড়ুয়াদের অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। প্রথম পর্বে পড়ুয়াদের প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট পূর্বে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোর্টালে প্রবেশ করতে না পারলে, সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার প্রথম প্রশ্ন ব্যতীত অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ মিলবে।
এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানিয়েছেন, তাঁদের ছোটবেলায় এই ধরনের প্রতিযোগিতার চল বেশি থাকায় সেই সময় পড়ুয়াদের জ্ঞান অর্জনের পরিসর ছিল অনেকটাই। মুঠোফোনের যুগে সেই আবহটা খানিকটা হলেও বদলেছে। তিনি আরও বলেন, “তবে, ‘স্টুডেন্টস উইক’ -এর মাধ্যমে এই অনলাইন প্রতিযোগিতার উদ্যোগ পরীক্ষার আগে স্কুলপড়ুয়াদের সাধারণ জ্ঞান এবং বিষয়ভিত্তিক তথ্য আদান প্রদানেরও সুযোগ করে দেবে। স্কুলের পড়ুয়ারা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং তারা ভাল ফল করার চেষ্টা করবে, এটাই কাম্য।”
প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে সর্বোচ্চ স্কোর করেছে, এমন ৪০টি স্কুলকে বেছে নেওয়া হবে। এর পরের ধাপের প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি স্কুল এবং তৃতীয় ধাপে ১৬টি স্কুলকে ভাল ফলাফলের নিরিখে বাছাই করে নেওয়া হবে। প্রতিটি স্কুলের তরফে দু'জন করে প্রতিযোগী অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। তবে, রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতা কবে সংঘটিত হবে, তা পরে আয়োজকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে। আগ্রহী পড়ুয়া কিংবা স্কুলগুলিকে ৫ জানুয়ারি, বিকেল ৫টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করে নিতে হবে। ওই পোর্টালেই ক্যুইজ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য মিলবে।