Ticket Checker

মাধ্যমিক পাশের পর রেলওয়ে-তে টিটিই হওয়ার সুযোগ

এই প্রতিবেদনে টিকিট চেকার হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:১০
Share:

টিটিই। প্রতীকী ছবি।

রেলওয়েতে অনেক ধরনের কাজ থাকে, তার মধ্যে টিকিট চেকারের কাজ অন্যতম দায়িত্বশীল পেশার মধ্যে পড়ে। এই প্রতিবেদনে টিকিট চেকার হওয়ার খুঁটিনাটি আলোচনা করা হল।

Advertisement

যোগ্যতা

ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হয়, এবং সর্বোচ্চ বয়ঃসীমা প্রায় ২৯ বছর থাকতে হয়। এসটি, এসসি, ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় থাকে।

Advertisement

প্রার্থীদের স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দশম শ্রেণি পাশ করতে হয় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে।

কী পদ্ধতিতে টিটিই হওয়া যায়

শূন্যপদের ভিত্তিতে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) থেকে পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দশম শ্রেণি পাশ করার পর, সেই সময় প্রার্থীকে নাম রেজিস্টার করতে হয়।

এর পর, যে সমস্ত প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফল ভাবে হয়ে যায়, তাঁদের নির্দিষ্ট তারিখে প্রবেশপত্র-সহ পরীক্ষায় বসতে হয়।

সাধারণ জ্ঞান, অ্যাপ্টিটিউড, গণিত, সাধারণ ইংরেজি বিষয়ের উপর সিবিটি ফরম্যাটে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতে শারীরিক পরীক্ষা, নথি যাচাইকরণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

বিশেষ যে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন:

টিকিট চেকারের যাত্রীদের সঙ্গে ভাল ভাবে যোগাযোগ স্থাপনের দক্ষতা থাকতে হবে।

টিকিট চেকারকে সব ধরনের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। ট্রেনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করতে হয় টিটিইকে। তাই সব ধরনের পরিবেশ এবং আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা দরকার।

টিকিট চেকারদের অনেক সময়ই নানা কারণের যাত্রীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়, সেই সময় ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলাতে হয় টিটিইদের।

বিভিন্ন ধরনের শিফ্‌টে কাজ করতে হয়, অনেক সময় ওভারটাইম-ও করতে হয় টিকিট চেকারদের।

টিটিই হিসাবে উন্নতির সুযোগ

টিকিট চেকার বা টিকিট সংগ্রাহক হিসাবে বিভিন্ন ধাপ থাকে এই পেশায়। নীচে এই বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হল:

টিকিট চেকার: প্রথম ধাপ টিকিট চেকার। এ ক্ষেত্রে টিকিট পরীক্ষক যাত্রীদের টিকিট চেক করেন এবং যে সমস্ত যাত্রী বিনা টিকিটে ট্রেনের কোচে ভ্রমণ করেন তাঁদের জরিমানা করেন।

সিনিয়র টিকিট পরীক্ষক: সিনিয়র টিকিট সংগ্রাহক হিসাবে মূলত, ট্রেনে সমস্ত যাত্রী সব নিয়ম মেনে ভ্রমণ করছেন কি না, সেই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে হয়।

ট্রাভেলিং টিকিট ইন্সপেক্টর: যাত্রীদের খালি আসন বরাদ্দ করেন। রেলের নিয়ম অনুয়ায়ী খালি আসন যাত্রীদের দেওয়ার বিষয়টি ট্রাভেলিং টিকিট ইন্সপেক্টর পর্যালোচনা করে থাকেন।

চিফ টিকিট ইন্সপেক্টর: টিটিই পেশার মধ্যে এই ধাপ সব থেকে উপরে। প্রধান টিকিট পরীক্ষক যাত্রীদের কোন অভিযোগ থাকলে তা ভাল ভাবে শোনেন এবং তার সমাধান বের করে যাত্রীদের যথাযথ সুবিধা দেন।

টিকিট চেকারদের বেতন বার্ষিক প্রায় ২.২ লক্ষ টাকা ধার্য থাকে। সরকারি এই চাকরি পাওয়ার জন্য প্রার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনার মধ্যে থাকা ভাল এবং রেলেওয়ের তরফ থেকে কখন শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে সেই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement