ইউপিএসসি ইএসই পরীক্ষা সংগৃহীত ছবি
বুধবার ইউপিএসসি ইএসই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বেরোবে। বিজ্ঞপ্তিটি দেখা যাবে ইউপিএসসি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। একই সঙ্গে আজ ইউপিএসসি ইএসই পরীক্ষার আবেদনপত্রটিও ইউপিএসসি-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখতে পাওয়া যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে ইএসই পরীক্ষায় আবেদন জানানোর যোগ্যতা, সিলেবাস, পরীক্ষা কাঠামো এবং পরীক্ষা সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও বিশদে দেওয়া থাকবে।পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হবে ৪ অক্টোবর।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই মূল বিজ্ঞপ্তিটি ভাল করে দেখে নিতে হবে। আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীদের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য, অ্যাকাডেমিক তথ্য দিতে হবে। এর পর পরীক্ষার্থীকে পছন্দের পরীক্ষাকেন্দ্র বেছে নিয়ে আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রটি সঠিক ভাবে জমা করার পর পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
যোগ্যতা
এই পরীক্ষায় আবেদন জানাতে হলে পরীক্ষার্থীদের যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন আছে, সেগুলি হল—
বয়ঃসীমা
পরীক্ষার্থীদের জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৯৩ থেকে ১ জানুয়ারি ২০০২-এর মধ্যে হতে হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ২৯ বছর হতে হবে। পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৩-এ ৩০ বছর হয়ে গেলে তাঁর আবেদনপত্র খারিজ হয়ে যাবে। তবে সরকারি চাকরিরত কর্মীদের ক্ষেত্রে (যাঁরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কিছু নির্দিষ্ট সরকারি দফতরে কাজ করেন) বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩৫ বছর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
জাতীয়তা
একজন পরীক্ষার্থীকে আবেদন জানাতে হলে ভারত, নেপাল বা ভুটানের অধিবাসী হতে হবে। এছাড়া তিব্বতি শরণার্থী, যাঁরা ১ জানুয়ারি ১৯৬২-র আগে ভারতবর্ষে স্থায়ী বসবাসের অভিপ্রায়ে চলে এসেছেন অথবা পাকিস্তান, বার্মা,শ্রীলঙ্কা, পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া,জাম্বিয়া, মালাউই, জাইরে,ইথিওপিয়া,ভিয়েতনাম থেকে ভারতবর্ষে বসবাস করার জন্য দেশান্তরিত হয়েছেন, তাঁরাও আবেদন জানাতে পারেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
১.যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন, তাঁরাও আবেদন জানাতে পারবেন। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দ্বারা স্বীকৃত বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ১৯৫৬ এর তৃতীয় ধারার দ্বারা স্বীকৃত কি না দেখতে হবে।
২.ইএসই পরীক্ষার 'এ' ও 'বি' বিভাগের পরীক্ষায় পাশ করেছেন যাঁরা।
৩. বিদেশি কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি পেয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ভারত সরকার দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে।
৪. ইনস্টিটিউশন অব ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে গ্রাজুয়েট মেম্বারশিপ পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
৫.এরোনটিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া থেকে অ্যাসোসিয়েট মেম্বারশিপ এগজামিনেশনের দ্বিতীয় ভাগ ও তৃতীয় ভাগের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে বা 'এ' এবং 'বি' বিভাগের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
৬. লন্ডনের ইনস্টিটিউশন অব ইলেকট্রনিক্স ও রেডিয়ো ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে ১৯৫৯-এর নভেম্বরের পর গ্রাজুয়েট মেম্বারশিপ পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
শূন্যপদনিম্নলিখিত পদগুলিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে-
প্রথম বিভাগ-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
দ্বিতীয় বিভাগ-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
তৃতীয় বিভাগ-ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
চতুর্থ বিভাগ-ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
উপরোক্ত এই ক’টি বিভাগে পরীক্ষার পর প্রায় ৩২৭টি শূন্যপদে নিয়োগ হবে। যার মধ্যে ১১টি আসন বরাদ্দ আছে পিডাব্লিউবিডি, ৭টি শূন্যপদ লোকোমোটর সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ আছে, ২টি শূন্যপদ বরাদ্দ আছে বধির পরীক্ষার্থীদের জন্য,১ টি আসন বরাদ্দ করা আছে যাঁরা শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং অন্যান্য অক্ষমতায় আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য ১টি আসন বরাদ্দ আছে।উপরোক্ত শূন্যপদের সংখ্যাগুলি অবশ্য পরিবর্তন সাপেক্ষ। যাঁরা এসসি,এসটি,ওবিসি, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এবং বেঞ্চমার্ক ডিজেবিলিটিতে আক্রান্ত, সেই সব পরীক্ষার্থীদের জন্য ভারত সরকার শূন্যপদের ভিত্তিতে কিছু আসন সংরক্ষণও করে।
পরীক্ষা কাঠামো
এই পরীক্ষাটি তিনটি পর্যায়ে আয়োজিত হয়।
১.প্রথম পর্যায়— ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস এগজামিনেশনের প্রিলিমিনারি বা প্রথম ধাপের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অবজেক্টিভ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের এবং তার পর তাঁরা দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা বা মেন্স পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।
২. দ্বিতীয় ধাপ— দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা বা মেন্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের প্রথাসিদ্ধ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
৩. তৃতীয় পর্যায়— এই পর্যায়ে নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়।