পরিবারের সঙ্গে সাফল্যের আনন্দ ভাগ করার মুহূর্তে। নিজস্ব চিত্র।
২০২১ সালের করোনা অতিমারি বদলে দিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার পদ্ধতি। সেই বছর গোটা রাজ্যের মধ্যে ৭৮ জনের সঙ্গে প্রথম স্থানে নাম ছিল সুমিত মুখোপাধ্যায়ের। তবে বুধবার ২০২৩-এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় ৪৯০ নম্বর পেয়ে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিতে পেরেছেন তিনি। এই সাফল্যের ভাগীদার মা বাবা, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং আত্নীয়স্বজন-সহ আরও বহু মানুষ, জানিয়েছেন বীরভূমের রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের ছাত্র সুমিত।
প্রথম পাঁচের তালিকায় জায়গা করে নিতে না পারায় সামান্য আক্ষেপ রয়েছে সুমিতের। তবে সেরা দশের তালিকায় নিজের নামটা পেয়ে সন্তুষ্ট তিনি। রামপুরহাটে তাঁর বাড়িতে যদিও এখন উৎসবের আবহ। সুমিতকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত গোটা পরিবার।
মা ও বাবার সঙ্গে সুমিত। নিজস্ব চিত্র।
অঙ্ক ভালোবাসেন তিনি, তাই ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথেই পা বাড়াবেন তিনি। তবে শুধু ভালবাসলেই হবে না, রাখতে হবে স্বচ্ছ ধারণা, থাকতে হবে সুস্থ সবলও, মত সুমিতের। পড়াশোনার পাশাপাশি গিটার বাজিয়ে গান গাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁর, যা ছিল তাঁর নিজস্ব অবসরযাপন।
বীরভূম জেলার আরও এক কৃতি ৪৯০ নম্বর পেয়েছেন। ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন সিউড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র অভিরূপ পাল। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর রীতিমতো উৎসবের মেজাজ সিউড়ি ডাঙ্গালপাড়ার বাড়িতে।
ভবিষ্যতে সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে অভিরূপের। শখ হিসেবে ক্রিকেট নিয়ে চর্চা করার পাশাপাশি গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালোবাসেন তিনি। তাঁর এই ফলাফলের নেপথ্যে তাঁর মা, বাবা, দিদি-সহ গোটা পরিবার। পাশাপাশি, ৬ থেকে ৭ জন গৃহশিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য, মত অভিরূপের।
পরিবারের সঙ্গে অভিরূপ। নিজস্ব চিত্র।
মা ফাল্গুনি পাল ছেলের সাফল্যে আপ্লুত। প্রথম দশের তালিকায় ছেলের নাম আসবে, এমন আশা ছিলই তাঁর। তাই সপ্তম স্থানে অভিরূপের নাম আসায় স্কুলের নাম উজ্জ্বল হয়েছে, দাবি কৃতির মায়ের। নিয়ম করে নির্দিষ্ট করে পড়তে বসার জন্য কখনও বকাবকি তো দূর, মুখ ফুটে বলতেও হয়নি অভিরূপকে। পড়াশোনার প্রতি ভালবাসাই তাঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাক, আশা কৃতির পরিবারের।