রাজনৈতিক পর্যটনের ধুম লেগেছে উত্তরপ্রদেশের প্রিয়ঙ্কাভক্ত নেতা-কর্মীদের মধ্যে! কিন্তু তাতে যতটা আবেগ, ততটা কাণ্ডজ্ঞান নেই বলেই মত কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের। ঘটনা হল, কেরলের ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নির্বাচনী অভিষেক নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই উত্তরপ্রদেশের রাজ্য কংগ্রেস কর্মীদের। দলের শীর্ষ নেতারা একের পর এক ‘অনুরোধের আসর’-এ ব্যতিব্যস্ত। কর্মী ও মাঝারি নেতাদের দাবি, তাঁদের ওয়েনাড়ে গিয়ে ‘দিদি’র হয়ে প্রচার করতে দিতে হবে। তবে অধিকাংশকেই নিরাশ করে বলা হয়েছে, আপাতত দরকার নেই, তাঁরা নিজ রাজ্যেই কাজ করুন। কারণ গোবলয় থেকে গিয়ে মালয়ালি রাজ্যে কোন ভাষায় ভোট চাইবেন ‘দিদি’র জন্য! আরও একটি কারণ রয়েছে তাঁদের নিরুৎসাহ করার। সামনেই উত্তরপ্রদেশে নয়টি আসনে উপনির্বাচন। ইন্ডিয়া জোটের শরিক এসপি ২০২৪-এর লোকসভায় কংগ্রেসকে আসন না ছাড়লেও জান লড়িয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থীদের জন্য। ফলে এসপি প্রার্থীদের জন্য বিরোধী জোটের দায়রক্ষার্থে প্রচারে পাশে তো থাকতে হবে কংগ্রেস কর্মী নেতাদের। তাই ‘কেরলের ডাক’ আপাতত বেদনার সঙ্গেই অগ্রাহ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
কেরলে প্রচাররত প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
রাহুল এলেন তাই
হঠাৎ কংগ্রেসের সদর কার্যালয়ে হাজির রাহুল গান্ধী। হইচই, দৌড়াদৌড়ি সে দিনের আপাত নিস্তরঙ্গ অফিসে। নিরাপত্তা আধিকারিকরা যথারীতি প্রথমেই ভিড় করে থাকা সাংবাদিকদের অফিস প্রাঙ্গণের বাইরে যেতে বললেন। জানালেন, ‘উপর থেকে নির্দেশ’। সাংবাদিকরাও ছাড়ার পাত্র নন। নড়লেন না। তখন অনুরোধ এল, ছবি বা ভিডিয়ো যেন না তোলা হয়। হট্টগোলের মধ্যে অফিসের গেটে কিছু ক্ষণ আটকে রইল রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের গাড়ি। এসেছেন নিজের কাজে। কিন্তু রাহুলের নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে ঢুকতে পারছেন না। অগত্যা তাঁর সঙ্গীরা নেমে নিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর গেট খোলা হল। পরে জানা গেল বিশেষ ফোটোশুটের জন্য আগে থেকে না জানিয়েই সদর কার্যালয়ে এসেছিলেন রাহুল। কোনও নির্ধারিত বৈঠক ছিল না। তাতেই তটস্থ অফিস কর্তারা।
শত্রু লরেন্স বিশ্নোই
আতঙ্কের নতুন নাম লরেন্স বিশ্নোই। কানাডা থেকে বলিউড সকলেই কাঁপছে জেলবন্দি গ্যাংস্টারের নামে। এই আবহে লরেন্সের কাছ থেকে হত্যার হুমকি পেলেন বিহারের পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব। দিন পনেরো আগে পাপ্পু রীতিমতো হুমকি দিয়ে দাবি করেছিলেন, আইনি অনুমতি পেলে লরেন্স ও তাঁর নেটওয়ার্ক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে নষ্ট করে দেবেন তিনি। তার পরেই পূর্ণিয়ার সিপিআই(এম) নেতা অজিত সরকারকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত পাপ্পুকে খুনের হুমকি দিয়েছেন লরেন্স। পূর্ণিয়ার দাপুটে ওই নেতা এখন প্রাণ বাঁচাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। পাপ্পুকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া যে সম্ভব নয়, তা ঠারেঠোরে জানিয়েও দিয়েছে সরকার। তাই এখন খবর হল, প্রাণ বাঁচাতে আপাতত ছোটবেলায় শেখা কুস্তির দাঁও-প্যাঁচ, লাঠি ঘোরানোয় মন দিয়েছেন পাপ্পু।ডি
ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়।
চন্দ্রচূড়ের দেখানো পথ
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর থেকেই ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় চেয়েছিলেন, বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা কাগজের ফাইলের বদলে ল্যাপটপ, আইপ্যাড নিয়ে সওয়াল করুন। তাঁর বার বার বলায় কাজ হয়েছে অনেকখানি। অনেক আইনজীবী এখন শুধু যে আদালতে এসে ল্যাপটপ হাতে সওয়াল করছেন, তা নয়, কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছেন অনেকেই। সম্প্রতি একটি মামলায় প্রবীণ আইনজীবী অরবিন্দ দাতার বিচারপতিদের জানিয়ে দিলেন, তিনি এমন একটি ‘এআই’ ব্যবহার করছেন, যা শুধু তথ্য খুঁজে দিচ্ছে না, তথ্যের উৎসও জানিয়ে দিচ্ছে।
আদালতে ‘গোলমাল’
অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে এক আইনজীবী জানালেন, সংশ্লিষ্ট মামলাটি আগে বিচারপতি হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছিল। চন্দ্রচূড় বললেন, “হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় না হৃষীকেশ রায়? সব কিছুর একটা নিয়ম আছে। বিচারপতিদের নাম জানেন না? ওয়েবসাইট দেখেন না কেন?” জোর ধমক খেয়ে ওই আইনজীবী চলে গেলেন বটে, তবে তিনি স্বনামধন্য পরিচালক হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের ভক্ত কি না, আগের রাতে গোলমাল সিনেমাটি দেখছিলেন কি না সে সব কৌতূহল রয়েই গেল!
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে