শ্রদ্ধা: পিকাডিলির রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্লাবে নুরের প্রতিকৃতি উন্মোচনে রানি ক্যামিলা
নুর ইনায়েত খানের পূর্বপুরুষ টিপু সুলতানের প্রাণ নিয়েছিল ব্রিটিশ। উইনসর কাস্ল-এর ভল্টে আর ব্রিটেনের জাতীয় জাদুঘরে আজও গচ্ছিত তাঁর সম্পদ। সেই নুরেরই প্রতিকৃতি উন্মোচিত করলেন রানি ক্যামিলা, রয়্যাল এয়ার ফোর্স ক্লাবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গুপ্তচর নুর ব্রিটেনের বীরাঙ্গনাদের অন্যতম। নাৎসি অধিকৃত ফ্রান্সে অনুপ্রবেশ করেন তিনি, কিন্তু ধরাও পড়ে যান। দাকাউ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নাৎসিরা তাঁকে হত্যা করে। মরণোত্তর জর্জ ক্রস পান নুর। পল ব্রেসনের আঁকা ছবিটিতে নুর ফ্রান্সের যাত্রা শুরু করতে চলেছেন, প্রেক্ষাপটে একটা লাইস্যান্ডার বিমান আর চাঁদ জ্বলজ্বল করছে। অবতরণক্ষেত্র স্পষ্ট ভাবে দেখার জন্য গুপ্তচরেরা পূর্ণিমার রাতেই বিমানযাত্রা করতেন। ১৯৪৩-এর ১৬ জুলাই নুর মিশনে গিয়েছিলেন।
আশ্চর্য আতিথ্য
গত সপ্তাহে ঋষি সুনক ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতা স্কটল্যান্ডের বালমোরাল দুর্গে গিয়েছিলেন। ঐতিহ্য মোতাবেক, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্বামী বা স্ত্রী রাজা-রানির অতিথি হয়ে গ্রীষ্মের একটি সপ্তাহান্ত বালমোরালে কাটান, গির্জার রবিবারের উপাসনায় যোগ দেন। এ বারের বালমোরাল সফরটি রাজা হিসাবে চার্লসের প্রথম, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সুনকেরও প্রথম। মার্গারেট থ্যাচার বালমোরালে যেতে, বনভোজন করতে মোটেও ভালবাসতেন না। কর্মীরা স্যুটকেস খুলে জামাকাপড় বার করে রেখেছে দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান টোনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ার। তাঁর পোশাক হ্যাঙারে টাঙানো ছিল, অন্তর্বাস ছিল ড্রয়্যারে ভাঁজ করে রাখা। এমনকি গর্ভনিরোধক বড়িও কেউ সাজিয়ে রেখেছিল! আশা করা যায়, সুনকরাও স্কটিশ আতিথ্য উপভোগ করেছেন।
রানি ও লৌহমানবী
১৯৮৪-র জুনে খনি-শ্রমিকদের ধর্মঘটের সময় পুলিশি আচরণের নাকি তীব্র নিন্দা করেছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। প্রতিবাদীদের জমায়েতের উপর ৬০০০ পুলিশ চড়াও হয়, খনি-শ্রমিকদের গায়ের উপর দিয়ে চলে যায় তাদের ঘোড়া, কয়েক জনকে খুরের ঘায়ে ফেলেও দেয়। শোনা যাচ্ছে, সেই ফুটেজ দেখে রানি বলেন, “উহ্! খুব খারাপ হল এটা! আমাদের এমনটা করা উচিত নয়!” ঘরে তাঁর সঙ্গে তখন মাত্র দু’জন। তাঁদেরই এক জন কথাগুলো দ্য টাইমস-এর রাজনৈতিক সম্পাদক জুলিয়ান হ্যাভিল্যান্ডের কানে তোলেন। সম্প্রতি, ব্যাপারটা প্রকাশ্যে এনেছেন হ্যাভিল্যান্ড। সেই ধর্মঘট শেষে ভেঙেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। হ্যাভিল্যান্ড আরও জানিয়েছেন, থ্যাচার নাকি রানির সঙ্গে সাপ্তাহিক বৈঠকের আগে বেশ ঘাবড়ে থাকতেন। বৈঠকের আগে স্কচের বড় গেলাসে চুমুকও দিতেন। হ্যাভিল্যান্ডের কথায়, দুনিয়ায় এক জনকেই ভয় করতেন মার্গারেট থ্যাচার। রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ।
ওজন নেওয়ার ফন্দি
মাপজোখ: ওজনযন্ত্রে উঠেছে মিরক্য়াট।
পেঙ্গুইনকে কি তুলাযন্ত্রে ওজন মাপতে রাজি করানো যায়? বাঁদরকে কি চুপচাপ বসিয়ে রাখা যায়? বাঘেরই বা ওজন-উচ্চতা মাপা যায় কী ভাবে? এই সব চ্যালেঞ্জ সুচারু ভাবে সামলাল লন্ডন জ়ু। ১৪,০০০ পশুর উচ্চতা-ওজন মেপে রেকর্ডবইতে লিখল। বার্ষিক এই ওজন পরিমাপের ফলে সাম্প্রতিকতম তথ্য কিপারদের কাছে মজুত থাকে, অন্যান্য চিড়িয়াখানার সঙ্গে তা মিলিয়েও দেখা যায়। সঙ্কটাপন্ন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর জরুরি বিষয়গুলির সম্পর্কে একটা তুল্যমূল্য হিসাব রাখা যায়। লম্বা জিরাফ থেকে খুদে ব্যাঙাচি, কেঁদো বাঘ থেকে কাঠিপোকা— সব প্রাণীকেই কৌশলে ফিতে দিয়ে মাপলেন রক্ষকরা। ছানা পেঙ্গুইনরা সকালে খাওয়ার সময় লাইন দিয়ে এলে তাদের মাপদণ্ডের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে মেপে নিলেন। সুস্বাদু খাবার রেখে ভুলিয়ে মাথায় কালো ছোপওয়ালা বলিভিয়ার কাঠবেড়ালি-বাঁদরদের মাপযন্ত্রে ওঠালেন। সবচেয়ে ওজনদার বাসিন্দার খেতাব পেল ৭৫০ কেজির জিরাফ ম্যাগি। ক্ষুদ্রতম নির্বাচিত হল পাতাকাটা পিঁপড়ে, ওজন প্রায় ৫ মিলিগ্রাম।
স্বাগত সুনক
জি২০-র জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বার ভারতে ঋষি সুনক। দেশে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও আপ্যায়নের জাঁক কম নয়। আজ দিল্লিতে সুনকের সম্মানে আত্মীয়েরা মহাভোজ রেখেছেন, সঙ্গে পঞ্জাবি সঙ্গীত ও ফুলের সাজ। মিটিংয়ে ব্যস্ত সুনকের অবশ্য ভোজবাসরে আসার কথা নয়।