রাজারও কি সুয়ো-দুয়ো হয়ে থাকে? ছবি: পিটিআই।
দোর্দণ্ডপ্রতাপ এক রাজা। প্রবল প্রতাপান্বিত তাঁর অস্তিত্ব। হাতিশালে তাঁর হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া। লোক-লস্কর-পেয়াদা-সান্ত্রী-মন্ত্রী নিয়ে জমজমাট তাঁর রাজপাট। খাজনা যেখানে বেশি, বাজনা আরও। রাজার দাপট খুব, অমাত্যদের বাদ্যিবাদনের দাপটও কম নয়। সব মিলিয়ে, ভয়ে-ভক্তিতে রাজ্যের দিন চলছিল আশায়-আশঙ্কায়-চিন্তায়-স্বপ্নে-উদ্বেগে— যেমনটা হয়ে থাকে। রূপকথাতেও, বাস্তবেও। রাজা থাকেন ঘোড়ার পিঠে সওয়ার, স্বর্ণসাজে। রূপকথাতে। বাস্তবেও।
এ হেন ত্রিভুবনজয়ী উন্নতশির রাজা অকস্মাৎ এক সকালে আমদরবারে যদি বিলাপ করতে শুরু করেন, তা হলে বেশ একটা চিন্তার বিষয় যে হয়, তাতে আর সংশয় কী। চিন্তার আরও কারণ হয়, রাজা যদি বলেন, তাঁরই দরবারে, তাঁরই পাত্র-মিত্র-অমাত্যমণ্ডলীতে ভরা দরবারে, তাঁর রাজকুলোচিত মহাদণ্ডখচিত দরবারে, কিছু লোক এসে তাঁকে কথা বলতে দিচ্ছেন না! চিন্তার হয় না কি? উদ্বেগের হয় না কি?
কোনও এক সুয়োরানি কোনও দুয়োরানির দুঃখ পেতে চেয়েছিলেন। রাজারও কি সুয়ো-দুয়ো হয়ে থাকে?
রাহুল গাঁধী বলেছেন, লোকসভায় শাসক দল তাঁকে বলার সুযোগ দিচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদী বললেন, লোকসভায় বিরোধী দল তাঁকে বলার সুযোগ দিচ্ছে না। এর সঙ্গে উপরের কাহিনির কোনও সম্পর্ক নেই।
রূপকথা আর বাস্তব সব সময় মিলবেই, এ কথা কি কোথাও লেখা আছে?