atm normalisation

তবে কি প্রস্তুতি ছাড়াই প্রতিশ্রুতি ছিল?

মাত্র এক দিন আগেই এই কলমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি যথেষ্ট সমীহ দেখানোর ঠিক পরেই শুক্রবার গোটা দিন দেশ জুড়ে যে দৃশ্য দেখা গেল, তাতে লজ্জাই হচ্ছে। প্রথমেই এই কথাটা স্বীকার করে নেওয়া ভাল।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৭
Share:

তখন ১১টা ১৭। এটিএম তবু বন্ধই। সাঁইথিয়া নন্দকেশ্বরীতলায়।—নিজস্ব চিত্র।

মাত্র এক দিন আগেই এই কলমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার প্রতি যথেষ্ট সমীহ দেখানোর ঠিক পরেই শুক্রবার গোটা দিন দেশ জুড়ে যে দৃশ্য দেখা গেল, তাতে লজ্জাই হচ্ছে। প্রথমেই এই কথাটা স্বীকার করে নেওয়া ভাল।

Advertisement

গোটা দিনটা জুড়ে এটিএমগুলোতে যে দৃশ্য দেখা গেল, যে হয়রানি, যে অপদার্থতা, যে অপরিণামদর্শিতার সাক্ষী হওয়া গেল, তার পরে না বলে উপায় নেই, প্রথম দিন উত্তীর্ণ হওয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় দিনে ডাহা ফেল। ফেল বললে কম বলা হয়, কারণ এটিএম বিপর্যয় বুঝিয়ে দিয়ে গেল, বৃহৎ বাক্যের আড়ালে আসলে চূড়ান্ত প্রস্তুতিহীনতা ছিল গোটা এই নোটকাণ্ডে।

নিতান্ত ছাপোষা মানুষ, যাঁরা সাময়িক দুর্ভোগ সহ্য করেও সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছিলেন এই ভরসায় যে, শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে, বিপাকে পড়বেন শুধু অসাধুরা, সাধুর কোনও চিন্তাই নেই, সন্ধ্যায় তাঁরাই যখন খালি হাতে শুকনো মুখে বাড়ির পথে ফিরছেন, তখন তাঁদের দিকে তাকাতে পারছে তো সরকার?

Advertisement

তবে কি প্রস্তুতি ছাড়াই প্রতিশ্রুতি ছিল? যেমনটা এর আগে বহু ক্ষেত্রে বহ বার দেখেছে এ দেশ? তবে যে এ বার একটু অন্য রকম ভাবা গিয়েছিল? সরকার, রাষ্ট্র দ্রুত ব্যবস্থা নিক। না হলে টাকার হাহাকার তো বাড়বেই, তার সঙ্গে আরও একটা বড় ঘটনা ঘটবে। রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের যে আস্থা, যার প্রকাশ ছিল এ বার গোড়া থেকেই, আরও এক বার তার মৃত্যু ঘটবে। এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement