ইয়েতির পদচিহ্নের ছবি (১-৫, পৃ ১) ইয়েতি বিষয়টাকে অনেক দিন পর আবার সামনে নিয়ে এল। ইয়েতির অস্তিত্ব নিয়ে জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে এখনও মতানৈক্য রয়েছে।
ইয়েতির অস্তিত্বের সব থেকে প্রাচীন যে রিপোর্টটি পাওয়া যায়, সেটি ১৮৮৯ সালে সিকিমের। কিন্তু প্রথম বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ ১৯২১ সালের। সে বারই এভারেস্টের বুকে প্রথম অভিযান। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যালরি, ওল্লাস্টন এবং মোর্সহেড উঠে এলেন লাকপা গিরিবর্ত্মের ওপর। দেখলেন বরফের ওপর বিশাল বিশাল পায়ের ছাপ। তিন সাহেব আশ্চর্য হলেও, সঙ্গী শেরপারা এতটুকু অবাক হলেন না। তাঁরা ওগুলোকে ইয়েতির বলে চিনতে পারলেন।
১৯২২ সালে এভারেস্টে এল দ্বিতীয় অভিযাত্রী দল। দলনেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সি জি ব্রুস গেলেন রংবুক মনাস্ট্রির লামার সঙ্গে দেখা করতে। তাঁকে ইয়েতির কথা বলতে তিনি খুব সহজ ভাবে বললেন, রংবুক উপত্যকার ওপর-অংশে পাঁচটা ইয়েতি বাস করে।
ইয়েতিকে প্রথম চাক্ষুষ করার খবর শোনা গিয়েছিল ১৯২৫ সালে। গ্রিক ফোটোগ্রাফার এন এ টমরাজি বেশ জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, তিনি সাদা বরফের ঢালে লোমশ জানোয়ারটাকে স্পষ্ট দেখেছিলেন। কিন্তু ক্যামেরা বার করার আগেই সে পালিয়ে গিয়েছিল।
তবে ১৯৫১ সালে কিংবদন্তি ব্রিটিশ পর্বতারোহী এরিক শিপটন তিব্বতের মেংলুং লা থেকে ফিরে, বরফের ওপর ইয়েতির স্পষ্ট পায়ের ছাপের ছবি প্রথম লন্ডন টাইম্স-এ ছাপিয়ে, ইয়েতির অস্তিত্বের দাবি জোরালো ভাবে পেশ করেন। ছাপগুলোর মাপ ছিল ১২ ইঞ্চি লম্বা আর ৫ ইঞ্চি চওড়া।
১৯৮৭ সালে সেই একই জায়গায়, আর এক বিশ্বখ্যাত পর্বতারোহী ক্রিস বনিংটন ৪,৮০০ মিটার উচ্চতায় ইতস্তত ছড়ানো ইয়েতির পায়ের ছাপের ছবি তুলে, লন্ডনের কাগজে প্রকাশ করেন।
প্রথম ইয়েতির পূর্ণাঙ্গ ছবি তোলার কৃতিত্ব দাবি করেন ব্রিয়ার্ন সামলোভিচ আসফেনাজি। ১৯৮১ সালের ২১ জুন, কাশ্মীরের খিলানমার্গ অঞ্চলে তিনি একটি ইয়েতির ছবি তুলে কাশ্মীর সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু কাশ্মীর সরকার ব্যাপারটাকে গুরুত্বই দেয়নি।
পৃথিবীর বিখ্যাত সব পর্বতারোহী— জন হান্ট, তেনজিং নোরগে, রেইনহোল্ড মেসনার— এঁদের স্মৃতিচারণে ইয়েতির অস্তিত্বের কথা জানা যায়। শুধু ইয়েতিদের খোঁজেই দু’দুটো অভিযান হয়েছে হিমালয়ে। কিন্তু এত কিছুর পরেও বেশির ভাগ জীববিজ্ঞানী ইয়েতির অস্তিত্বকে মানতে চান না। যদিও ১৯৫৪ সালে প্রাণিতত্ত্ববিদ বার্নাড হিউভেলম্যানস ইয়েতির অস্তিত্বকে পুরোপুরি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, প্রাগৈতিহাসিক মানুষের একটা পর্যায় ছিল জাইগ্যানটোপিথেকাস, ইয়েতি হয়তো তারই শেষ নিদর্শন।
প্রখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী সন্ডার্সনও হিউভেলম্যানস-এর মতকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘‘আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি ওরা আছে। ওরা অতি আদিম যুগের মনুষ্যগোত্রের অবশিষ্টাংশ...’’
বিখ্যাত ইয়েতি গবেষক মাইকেল ওয়ার্ড, প্যাংবোচে মনাস্ট্রিতে সযত্নে রক্ষিত ইয়েতির মাথার খুলি (সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে সেটি নাকি একটি হিমালয়ান নীল ভালুকের) সম্পর্কে বলেছেন, 'The scalp kept on the Pangboche Monastery is the only evidence of existence of Yeti in the world.'
সুবীর ভট্টাচার্য
কলকাতা-৬৭
অসহায়
2 আমি এক অসহায় ছাত্রী। বিদ্যাসাগর কলেজের মর্নিং বিভাগের বিএ ২য় বর্ষে পাঠরতা। ২০১৭ সালে জ্যাংড়া আদর্শ বিদ্যালয়, বাগুইআটি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি। ওই স্কুলে পড়ার সময়েই আমি কন্যাশ্রী প্রকল্পে দরখাস্ত করি এবং ঠিক সময় মতো ৫০০ টাকা ও পরবর্তীতে ৭৫০ টাকা করে পাই। পরে ১৮ বছর বয়স হলে, স্কুলের নির্দেশ অনুসারে কে-টু ফর্ম পূরণ করে জমা করি ২৫০০০ টাকা অনুদান পাওয়ার উদ্দেশ্যে। তার পর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি এবং বিদ্যাসাগর কলেজে ভর্তি হই। পরবর্তী সময়ে কলেজের নির্দেশ মতো স্কুল থেকে দেওয়া কে-টু ফর্ম ট্রান্সফার লিস্ট অফিসে জমা দিই। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন, আমার কী করণীয়, তাঁরা পরে জানিয়ে দেবেন। আমি তার পর পড়াশোনা ও পরীক্ষার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কলেজের অফিস থেকেও আমাকে কিছু জানায়নি। আমার বাবা অসুস্থ এবং বেকার, মা দু’একটি বাড়িতে এটা-সেটা কাজ করে দিন গুজরান করেন। আমি নিজেও নার্ভের রোগী, আজ আট দশ বছর স্টুডেন্ট হেল্থ হোমে দেখাই। তাই ধারে-দেনায় জর্জরিত। আমি বহু বার কলেজের অফিসে গিয়েছি, আর অফিস থেকে ‘পরে জানানো হবে’ জবাব পেয়েছি। তার পর নিরুপায় হয়ে বারাসত জেলা শাসক অফিসে গেলে, তারা বলে, আমার কে-টু ফর্ম জমাই হয়নি। কলেজে গিয়ে বললে, অফিস থেকে বলে, স্কুল সময়মতো অনলাইনে পাঠায়নি। আবার স্কুল বলছে, সময়মতোই পাঠিয়েছে। এখন আমি এবং মা পাগলের মতো দৌড়াদৌড়ি করছি, কোনও কাজই হচ্ছে না। জেলাশাসকের অফিস বলছে ‘টাইম ইজ় ওভার, কিচ্ছু করার নেই।’
সুকৃতি রায়
কলকাতা-৫৯
কৃষ্ণচন্দ্র
2 ‘অন্তর্দৃষ্টি দিয়েই তিনি সুরসাধনা করতেন’ (পত্রিকা, ৪-৫) শীর্ষক নিবন্ধে লেখা হয়েছে, কৃষ্ণচন্দ্র দে চারুচন্দ্র বসুর কন্যা রমা ওরফে তারকবালা ওরফে ‘মিস লাইট’কে বিবাহ করেছিলেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান হয়েছিল, যে ১৪ বছর বয়সে মারা যায়। কিন্তু ইউটিউব-এ মান্না দে-র একটি সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়, যা তিনি দিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের একটি বাংলা টিভি চ্যানেলকে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন শর্মিন রেজা ইভা। এখানে মান্নাবাবু তাঁর কাকা কৃষ্ণচন্দ্র দে সম্পর্কে বলছেন, তিনি কখনও বিয়ে করেননি। তা হলে কোনটা ঠিক?
প্রবীর চক্রবর্তী
গোচারণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
রাস্তা উঁচু
2 বালি জগাছা ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতের প্রায় সব রাস্তা ঢালাই হয়েছে। কিন্তু রাস্তা এমন উঁচু করা হয়েছে যে, বৃষ্টি হলেই রাস্তার পাশের বাড়িগুলিতে জল ঢুকে পড়ছে। নিকাশি ব্যবস্থা ভাল নয়। নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার হয় না। যত ক্ষণ না বড় নর্দমার জল সরছে, তত ক্ষণ বাড়ির ভেতরে ঢোকা জল বেরোয় না।
অভিজিৎ দাস
বালি ঘোষপাড়া নর্থ, হাওড়া
প্রকাশনা সংস্থা
2 ‘অপরাজিতা রাধারাণী’ (পত্রিকা, ১৮-৫) নিবন্ধের শেষে ‘ঋণ’ অংশে যে বইগুলির উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে ‘রাধারাণী দেবীর রচনা-সংকলন’ (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড) এবং ‘অপরাজিতা রচনাবলী’র নাম আছে। প্রসঙ্গত জানাই, এই দু’টি বই প্রকাশ করেছে দে’জ।
সুধাংশুশেখর দে
কলকাতা-৭৩
কবিরাজ
2 ‘অপরাজিতা রাধারাণী’ নিবন্ধে রাধারাণীর চিকিৎসা প্রসঙ্গে শ্যামাদাস বাচস্পতির কথা এসেছে, তবে উনি নন, ওঁর পুত্র, আমার পিতামহ কবিরাজ বিমলানন্দ তর্কতীর্থ ওঁর চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁরই ছেলে আমার বাবা কবিরাজ কৃষ্ণানন্দ গুপ্ত।
হৃষিতা গুপ্তবক্সী
কলকাতা-৯
প্রতিবেদকের উত্তর: রাধারাণী দেবীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নির্ভর করা হয়েছে ‘রাধারাণী দেবী’: রত্না মিত্র (‘পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’), এই জীবনীগ্রন্থ ও লেখিকার পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপরে।
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।