‘মূল্যবৃদ্ধিতে অসহায় প্রবীণদের কেউ কাজ খুঁজছেন, কেউ ভাঙছেন সঞ্চয়’ (২৬-৫) শিরোনামে প্রতিবেদনটি খুবই বাস্তবসম্মত। আমি নিজে এক জন ভুক্তভোগী। আমাদের সম্বল বলতে এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর সামান্য পেনশন, আমাদের সরকারি পেনশন নয়। বর্তমানে ব্যাঙ্কের সুদের হার মূল্যবৃদ্ধির হারের তুলনায় অনেক কম। আনাজ, মুদিখানার জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর উপরে রয়েছে ওষুধের খরচ। প্রবীণদের রেলের ভাড়ায় ছাড়ও তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে দূরে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে দেখাও করা যাচ্ছে না। ঘরে শিক্ষিত বেকার মেয়ে সামান্য মাইনের চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার পরিচিত প্রবীণদের অনেকে দোকানে সামান্য মাইনের কাজ করছেন। কারণ, কোভিড-উত্তর পরিস্থিতিতে বেসরকারি অফিসে প্রায় কোনও কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। অগত্যা দোকানে সামান্য মাইনের কাজই ভরসা। সরকার থেকে বৃদ্ধভাতা কারা পান, জানি না। যদি কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার থেকে প্রবীণ মানুষদের জন্য কিছু আর্থিক সহায়তা পাওয়া যেত, তা হলে আমাদের মতো মানুষ উপকৃত হতেন। সরকার কি প্রবীণদের বিষয়ে কিছু ভাববে?
রণেন মুখোপাধ্যায়, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান
ব্রাত্য শিক্ষকরা
উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে ইতিমধ্যে লক্ষাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি হয়েছেন। ব্রাত্য থেকে গেলাম আমরা, ‘সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার’ তকমাধারী অজস্র শিক্ষক-শিক্ষিকা। যে তকমাটাই তৈরি হয় ২০২১-এর অগস্ট মাসে, উৎসশ্রী পোর্টাল চালু হওয়ার পর। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে অর্ডারের মাধ্যমে শর্ত চাপিয়ে দিয়ে প্রায় শেষ করে দেওয়া হল আমাদের বদলির আশাটুকু।
অথচ, এমনটা কি হওয়ার ছিল? প্রধান শিক্ষক ছাড়া প্রত্যেকেই যেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার (এটি), সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার শব্দবন্ধটাই কি সেখানে অবৈধ নয়? এক জন বদলি হতে পারবেন, অন্য আর এক জন পারবেন না, এ কেমন নিয়ম? নির্দিষ্ট একটি বা দু’টি বিষয়ের শিক্ষক না থাকলে স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাবে, এই আশঙ্কার আদৌ কোনও ভিত্তি নেই, বিশেষ করে যেখানে সুনির্দিষ্ট নিয়মে প্রধান শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া চলছে। ‘সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার’ বলে যাঁদের তকমা দেওয়া হচ্ছে, তাঁরাও কিন্তু কোনও একটি স্কুলে ওই বিষয়ের শিক্ষক নেই বলেই সেই স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাঁকে অযথা নিয়মের ফাঁসে আটকে রাখলে লাভ হবে না কারও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, উৎসশ্রীর মাধ্যমে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বাড়ির নিকটবর্তী স্কুলে বদলি করাই যেখানে লক্ষ্য, সেখানে কয়েক জন শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ভাবে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখলে গোটা প্রক্রিয়াটাই ত্রুটিপূর্ণ থেকে যায়।
পত্রালী রায়, বেটিয়ারি, হাওড়া
ডাকঘরে দুর্ভোগ
ডাক বিভাগীয় হাওড়া ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রাচীন ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপ-ডাকঘর হল উলুবেড়িয়া আরএস সাব পোস্ট অফিস। বিপুল সংখ্যক গ্ৰাহক ও আমানতকারীর পাশাপাশি বর্তমানে এই ডাকঘরের অধীনে রয়েছে প্রায় কুড়িটি শাখা ডাকঘর। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে ডাকঘরটি বিবিধ জটিল সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমানে যে বেসরকারি বাণিজ্যিক আবাসনে এটির কার্যালয় অবস্থিত, সেটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং জনবহুল। অফিসের ভিতরের পরিসর প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছোট হওয়ায় নিত্য দিন সমস্যায় পড়েন গ্ৰাহকরা। ঘরটা প্রায় অন্ধকার, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। অন্য দিকে, সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাইরে ডাকঘরের কোনও সাইনবোর্ড অথবা ব্যানার লাগানো নেই। ফলে পোস্ট অফিস চেনার ক্ষেত্রে প্রায়শই চরম বিভ্রান্তির শিকার হন দূরদূরান্ত থেকে আগত অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তা ছাড়া, পর্যাপ্ত আধুনিক পরিকাঠামোর অভাবে বহু গুরুত্বপূর্ণ ডাক-পরিষেবা থেকে আজও বঞ্চিত এখানকার গ্ৰাহকরা। স্পিড পোস্টের সুবিধা তো দূর, অধিকাংশ সময়ে মেলে না ডাকটিকিট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প। এমনকি, সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মীরও অভাব রয়েছে। এ-হেন পরিস্থিতিতে উন্নত গ্ৰাহক-পরিষেবার স্বার্থে এই সব সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঊর্ধ্বতন ডাক-কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তন্ময় মান্না, বৃন্দাবনপুর, হাওড়া
পরিষেবা পাইনি
প্রায় এক বছর আগে আমি ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ফাইবার প্ল্যান গ্রহণ করি। পরবর্তী সময়ে সেটি পরিবর্তন করে সংস্থার ৯৯৯ টাকার প্ল্যানটি নিই। তাতে সুবিধা, ইন্টারনেট ও টিভি, দুটোই ব্যবহার করা যাবে। সংস্থা থেকে এক জন সেলসম্যান এসে আমাকে বোঝান যে, নতুন সেট-টপ বক্সের জন্য আমাকে ২৫০০ টাকা দিতে হবে। পুরনো সেট-টপ বক্সটি পরে কোনও ইঞ্জিনিয়ার এসে নিয়ে যাবে এবং আমার ১৫০০ টাকা রিফান্ড করা হবে। এর পর এক মাস অতিক্রান্ত হয়, কিন্তু সংস্থা থেকে কেউ আসেনি বা ফোনও করেনি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলে আমাকে জানানো হয়, ওই দিনই লোক গিয়ে খুলে রাখা সেট-টপ বক্সটি নিয়ে আসবে এবং টাকা রিফান্ড করে দেবে। এমনি করে আজ প্রায় ৮ মাস হয়ে গেল, আমি বহু বার ফোন করেছি। একই কথা শোনানো হয়েছে আমাকে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
রাখী ভট্টাচার্য, কলকাতা-২৯
দেরিতে ট্রেন
আমি পূর্ব রেল শিয়ালদহ শাখার এক জন নিত্যযাত্রী। প্রতি দিন কর্মসূত্রে বনগাঁ থেকে বারুইপুরে যাতায়াত করতে হয়। আর প্রায় প্রতি দিনই বনগাঁ লোকাল অনেক দেরি করে শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকে, এবং প্রায়শই দমদম জংশন আসার আগে সিগন্যাল না পাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে। তার ফলে তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে দক্ষিণ শাখার ট্রেন ধরতে হয়। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আমার মতো অনেক নিত্যযাত্রীকে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে শিয়ালদহ উত্তর শাখা থেকে দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি সঠিক সময়ে চলাচল করে। তাই পূর্ব রেলের ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে আর্জি, বনগাঁ লোকাল ট্রেনগুলিকে সময়ের মধ্যে চলাচল করানো হলে যাত্রীদের সুবিধা হয়।
সোমনাথ ঘোষ, রাজবল্লভপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
টিকিট মেলে না
সম্প্রতি দুর্গাপুরে গিয়েছিলাম। স্টেশন থেকে ডি-সেক্টর মার্কেট পর্যন্ত বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, কারণ সেটাই সবচেয়ে সস্তা মাধ্যম। কিন্তু যাওয়া-আসা মিলিয়ে কোনও বার চেয়েও টিকিট পাইনি। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেই বাসের সংখ্যা কম। ফেরার সময় কন্ডাক্টরের সঙ্গে সামান্য বচসাও হয়। বাকি সহযাত্রীদেরও টিকিট দেওয়া হল না, কেউ চাইলেনও না। শুধু দুর্গাপুর নয়, বর্ধমান শহরেও কাজের জন্যে বহু বার যাতায়াত করতে হয়। সেখানেও ছবিটা কার্যত এক। এই সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সায়ক দে, কলকাতা-৩২
টোটো দৌরাত্ম্য
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টোটো চালকদের জন্য পথচারী থেকে শুরু করে অন্য যানবাহনের নিত্য ঝামেলায় বিরক্ত সাধারণ মানুষ। বেশির ভাগ স্থানেই টোটোগুলির কোনও স্থায়ী স্ট্যান্ড থাকে না। অতিরিক্ত টোটো চলাচলে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এর বিহিত হওয়া দরকার।
শিবপদ চক্রবর্তী, কাঁচরাপাড়া, উত্তর ২৪ পরগনা