সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস ও পরীক্ষা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। বার্ষিক পরীক্ষার পরিবর্তে চারটি সিমেস্টারে পরীক্ষা নেওয়ার কথা সংসদ জানিয়েছিল। সেইমতো প্রথম সিমেস্টারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল নভেম্বর নাগাদ। ইতিমধ্যে সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। ফলে ছেলেমেয়েদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও ভয়ের সূত্রপাত ঘটেছে। জুন মাসে এদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। সদ্য ক্লাসও শুরু হয়েছে। এমনিতেই বই ছাপানো ও বই বিলি করতে করতে বেশ কয়েকটি মাস অতিক্রান্ত। তার উপরে লোকসভা ভোট ও গরমের ছুটির দরুন স্কুলগুলি দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। ক্লাস প্রায় হয়নি বললেই চলে। এমতাবস্থায় মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায় পাহাড়প্রমাণ সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষা দেওয়া কার্যত অসম্ভব। তার উপর প্রথম সিমেস্টার ওএমআর শিটে নেওয়ার কথা। তা নিয়েও ছেলেমেয়েদের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত নেই। অবশ্যই এ কথা সত্য যে, গৃহশিক্ষকের দৌলতে সিলেবাস শেষ করতে সমস্যা হবে না আর্থিক ভাবে সচ্ছল ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু যে সব প্রান্তিক ছেলেমেয়ে আজও স্কুল-মুখাপেক্ষী হয়ে আছে, তারা কি পারবে তালে তাল মেলাতে? ফলস্বরূপ স্কুলছুট আরও বাড়বে। তাই সংসদের কাছে বিনীত অনুরোধ, সমস্ত ছাত্রছাত্রী ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রথম সিমেস্টারের সময়সূচি পরিবর্তন করা হোক, যাতে ছাত্রছাত্রীরা চাপমুক্ত হয় সিলেবাস শেষ করতে পারে।
সায়ন্তন টাট, জাঙ্গিপাড়া, হুগলি
বিকল্প পথ
সম্প্রতি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গার্ডওয়াল দিয়ে রাস্তা পেরোনো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় মানুষ পড়েছেন অসুবিধায়। রাস্তা পেরোনোর জন্য অনেকটা পথ বেশি ঘুরতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে, এয়ারপোর্ট সিটি আবাসনে ঢোকার জন্য সেতুর নীচ দিয়ে একটা পথ ছিল। এই পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আরও অনেকটা এগিয়ে মালঞ্চ দিয়ে পূর্ব দিকে ঘুরতে হচ্ছে। কিন্তু ওই পূর্ব দিকে ঘোরার জায়গাটি খানাখন্দে ভরা। রাত্রিবেলা আলো জ্বলে না, পুরোটা অন্ধকার। সিগন্যাল সব সময় কাজ করে না। ফলে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি’-র অধীনে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গিয়েছে যে, হাইওয়ের নিয়ম অনুসারে তাঁরা গার্ডওয়াল দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় মানুষদের কথাও ভাবার দরকার ছিল না কি?
অন্য দিকে, এয়ারপোর্ট ৩ নম্বর গেটের কাছে একটি নতুন রাস্তা বানানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং যশোর রোড, দুটো রাস্তাতেই যাওয়া যায়। ওই রাস্তার মালিক স্টেট হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ। শোনা যায় যে, দুই কর্তৃপক্ষের বিরোধের জেরেই নাকি রাস্তাটি চালু করা যাচ্ছে না। সত্যিই যদি তা-ই হয়ে থাকে, তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে দুই কর্তৃপক্ষের উচিত শীঘ্র সমাধানের পথ বার করা।
সমীর বরণ সাহা, কলকাতা-৮১
যান্ত্রিক সমস্যা?
বিভিন্ন সময়ে মেট্রো স্টেশনে নানা রকম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগই হোক বা অন্য কোনও কারণে কী ঘোষণা করা হল তা বোঝাই যায় না। এর ফলে নানা সময়ে, বিশেষত মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হলে সমস্যা হয় মানুষের। এই বিষয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ একটু নজর দেবেন কি?
সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা-৩২
অমানবিক
দূরপাল্লার বাসে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার সময় প্রকৃতির ডাক উপেক্ষা করা যায় না। ওই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে কখনও কখনও শৌচাগারের সমস্যা আমাদের মুশকিলে ফেলে দেয়। এই রকম পরিস্থিতি সম্প্রতি প্রত্যক্ষ করলাম দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে। বাসটি দমদম থেকে সকাল সাতটায় দিঘার উদ্দেশে ছাড়ে। বাসের এক বয়স্ক যাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বাসের কন্ডাক্টরকে জানান। কাঁথি ছাড়ার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর মহিষাগোট স্ট্যান্ড পেরিয়ে ওই যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যদিও ওখানে আশেপাশে কোনও শৌচাগার চোখে পড়েনি। কন্ডাক্টর ও ড্রাইভারের অমানবিক আচরণে বিস্মিত হই যখন দেখলাম আর এক কিলোমিটার পরেই ছিল পেট্রল পাম্প। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিটি পেট্রল পাম্পে শৌচাগার থাকা উচিত। পথচারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই পরিকল্পনা। বিষয়টি কি বাসের কন্ডাক্টর ও ড্রাইভারের অজানা ছিল? রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন, ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পের বাস্তব রূপায়ণের জন্য সরকারি বাসের সকল স্তরের কর্মীদের নির্দেশিকা জারি করা হোক।
অন্বিতমা পাত্র, কলকাতা-৭৪
জলকষ্ট
বজবজ ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বাওয়ালি ও পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামেই দক্ষিণ রায়পুর, ডোঙারিয়ায় অবস্থিত জনস্বাস্থ্য দফতরের সরবরাহ করা নলবাহিত পানীয় জল ট্যাপকল খুললেও পাওয়া যায় না। অথচ, কয়েক বছর আগেও কলগুলো থেকে জল পাওয়া যেত। এর ফলে আজকাল অনেকেই নিরুপায় হয়ে বিদ্যুৎচালিত পাম্প মেশিনের সাহায্যে নলবাহিত জলের চাহিদা মেটান। জল পেতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জেরে বিদ্যুতের বিল বাবদ খরচও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সুভাষ চক্রবর্তী, উত্তর বাওয়ালি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
অবরুদ্ধ গেট
ক’দিন এসএসকেএম হাসপাতাল যাচ্ছিলাম সকাল-বিকেল। রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনের উত্তর প্রান্তের বাম দিকের ২ নম্বর গেটে উঠে হাঁটা পথে কিছু ক্ষণ সময় লাগে। কিন্তু সমস্যা গেটের মুখেই। চা, পান, তেলেভাজা, ফল, ছোটখাটো স্টেশনারি দোকান দিয়ে ভরা ফুটপাতের দুই পাশ। রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়েই চলছে খরিদ্দারের দরদাম, খাওয়া, গল্পের মজলিশ। পথচারী, মেট্রোর যাত্রীরা যাচ্ছেন ভিড়ের ফাঁক দিয়ে গলে। গেটটি ওই স্টেশনের প্রধান দ্বার। আশপাশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানের যোগাযোগ কেন্দ্রও। যে গেটের দৌলতেই সব, তারই কোনও খেয়াল নেই কারও। এ কথা হকারদের ভাবার কথা নয়। কর্তৃপক্ষকেই ভাবতে অনুরোধ করছি।
সুব্রত দত্ত, দুর্গাগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান
আবর্জনাময়
আমার বাড়ি সেলিমপুরে। যাদবপুর-গড়িয়াহাট মেন রোডে অবস্থিত অ্যান্ড্রুজ় স্কুলের পাশের রাস্তাটা সেলিমপুর বাই লেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটা এখন আবর্জনায় পরিপূর্ণ আর প্রায় যাতায়াতের অযোগ্য। আমার বাড়ির উল্টো দিকে একটা ফাঁকা জায়গায় জমা হচ্ছে যাবতীয় আবর্জনা। মশা-মাছি জন্মানোর আদর্শ পরিবেশ। এত ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় যে কোনও সময়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে ডেঙ্গি বা অন্যান্য রোগ। রাজ্য সরকার যেখানে ডেঙ্গির বিরুদ্ধে সচেতন হতে বলছে, সেখানে কলকাতা পুরসভাকে চিঠি লিখেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। ভুক্তভোগীর কথা শুনবে কে?
অনুপম সাহা, কলকাতা-৩১